শহরের ক্রাইমজোনখ্যাত কিল্লারপুল এলাকায় একটি মাজারের দান বাক্স লুটকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোছাম্মৎ মাহাবুবা আক্তার নুপুর নামে এক নারীকে সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি হামলায় মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ই এপ্রিল) দুপুরে ঘটনার সময় লুুটপাটে প্রতিবাদ জানালে তার উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
নিজেকে বাচাঁতে পাশের একটি দোকানে লুকিয়েও থাকলেও শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্সা পায় নােই ওই নারী । সন্ত্রাসীরা দোকানে প্রবেশ করে ওই নারীকে টেনে হিচড়ে বাহিরে নিয়ে যায় এবং দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
এমন ঘটনায় ১০ জনকে বিবাদী করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ভুক্তভোগী নারী। ইতমধ্যে ওই ঘটনার সময় দোকানে থাকা একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধারন হওয়া ভিডিওটি পাওয়া গেছে। যেখানে ওই নারীর উপর হিংস্র হামলার দৃশ্যটি দেখা যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ওই নারীর দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, কিল্লারপুল এলাকার এনায়েত আলী চিশতিয়া মাজারের প্রধান খাদেম হিসেবে দেখাশোনা করে আসছিলেন মোছাম্মৎ মাহবুবা আক্তার নুপুর। মাজার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের হিসেবে ২২ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইরান, রিপন, হুজুল, ফারুক, আমির, মনির, লাদেন, নিক্কাত, রনি ও আহমদ মিয়া দুপুর সাড়ে ১২টায় মাজারের ভিতরে প্রবেশ করে দান বাক্স লুট করার চেষ্টা চালায় এবং মাজারের তালা ভেঙ্গে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় মাহবুবা আক্তার নুপুর তাদের বাধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা নুপুরের উপর ক্ষিপ্ত হলে নুপুর ভয়ে কিল্লারপুলের একটি মোবাইলের দোকানে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে সন্ত্রাসীরা নুপুরকে টেনে হেঁচড়ে দোকান থেকে বের করে নিয়ে রাস্তায় ফেলে উপর্যুপরি লাঠিসোটা এবং ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
এ সময় নুপূরের সঙ্গে থাকা নগদ ১৬ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজনও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কাছে আসেনি। নুপুরকে মারধর ও ছুরিকাঘাতের পর জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় এবং মামলা মোকদ্দমা করলে যে কোন সময় দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে নুপুরের আত্মীয়স্বজন খবর পেয়ে দৌড়ে ছুটে এসে নুপুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা গ্রহণ করে আহত নুপুর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায়।
এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ ও ভিডিও পাওয়া গেছে । তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । আসামীদের আটক করতে জোর চেষ্টা চলছে ।









Discussion about this post