ব্যাপক সমালোচনা, প্রকাশ্যে অসাধু পুলিশ সদস্য, বিশেষ পেশার নামধারী ও রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টারে দীর্ঘদিন যাবৎ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে চাঁদাবাজির পর গেলো ৯ জানুয়ারী শহেরর আন্দোলনকালীন সময়ে পুলিশ বিতর্ক এড়াতে চাঁদাবাজ আসাদকে গ্রেফতার করলে আন্দোলনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত আপাতত দখল মুক্ত হলেও সুযোগ পেলেই আবার দখলের অপচেষ্টা চালায় হকাররা ।
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক দখলমুক্ত ও চাঁদাবাজ আসাদ গ্রেফতার হলেও শহরের অন্যন্য সড়ক যেন হাট বাজারে রূপান্তন করেছে হকার নামধারী চাঁদাবাজরা । খোদ শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় (শায়েস্তা খান সড়ক) র্যাব ১১ এর কার্যালয়ের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন যাবৎ র্যাবের নাম ব্যবহারসহ খোদ জেলা পুলিশ সুপারের নাম ব্যবহার করে অত্যন্ত ধূর্ততার সাথে বিশাল চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিলো কুক্ষাত চাঁদাবাজ সোহেল । শহরে অসংখ্য এমন চাঁদাবাজ প্রকাশ্যে অপকর্ম করলেও কেউ তাদের কোন খবর রাখে না । শুধু মাস শেষে বখড়া পেয়েই তুষ্ট থকেন আইনশৃংখলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তারা ।
এক ধরণের অলিখিত রাম রাজত্ব তৈরী করে কখনো পুলিশ সুপার আবার কখনো ব্যারের কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে সকলকেই এই চাঁদাবাজ সোহেল হাকডাক দিয়ে বলে বেড়াতো, “কর্মকর্তারা যদি না জানতো তবে কি তাদের নাকের ডগায় এমন চাঁদা উটনোর সাহস করে কেউ ।“
সাম্প্রতিক সময়ে ফুটপাতে এমন চাঁদাবাজি করার দৃশ্য চোখের সামনে দেখতে পেয়ে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর এই প্রতিবেদকের সাথে রূঢ় আচরণ করে চাঁদাবাজ সোহেল দম্ভকারে জানায়, “আমি এই চান্দা তুইল্লা কি একলা খাই ! আপনাদের মতো সাংবাদিকরাও তো নেয় । আবার থানার ওসিকে নিয়মিত ৪০ হাজার টাকা দিতে হয় । এখানে আমার নেতা আছে । আর সব চাইতে যাদের অফিসের সামনে এতো বড় ফুটপাত চালাই তাদের কি ম্যনেজ না করেই টাকা তোলার ক্ষমতা আমার আছে । আর আমাদের দেশের বাড়ি এলাকার এসপি এখন নারায়ণগঞ্জের এসপি, তিনি তো জানেন ই । আমার বিরুদ্ধে লেইখ্যা কোন লাভ হইবো না । যান লেখেন !“
র্যাবের কার্যালয়ের নাকের ডগায় এমন বিশাল চাঁদাবাজির বিষয়ে খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, প্রায় ২ শতাধিক হকার প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পসরা সাজিয়ে জনসাধরণের চরম ভোগান্তি সৃস্টি করে বিশাল চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিলো সোহেল । প্রতিটি দোকান থেকে নিম্নে ৪০ টাকা আর উর্ধ্বে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয় সোহেলের নিয়োজিত চাঁদা আদায়কারী আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস । এই আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে দিয়ে চাঁদা আদায় করলে দুই দিকে সুবিধা । একজন প্রতিবন্ধীকে যা খুশি তা দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া যায় আর সুস্থ সবল কোন ব্যাক্তি কয়েকদিন চাঁদা আদায়ের পর নিজেই পল্টি দিতে পারে এমন আশংকায় ধুরন্ধর সোহেল চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিলো বছরের পর বছর জুড়ে ।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে কয়েকজন হকার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই চাঁদাবাজ সোহেল এতইটাই দূর্ধর্ষ যে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে নানাভাবে সেই বিরোধীতাকারীকে শায়েস্তা করতে যা যা করা প্রয়োজন সেই মোতাবেক পরিকল্পনা করে কার্যসিদ্ধ করতে মহাপটু সোহেল ও তার বাহিনী । শহরের পাক্কা রোড এলাকার রাজিবের নেতৃত্বে একটি গ্যাং তৈরী করে পুরো শহরে তান্ডব চালায় বলেও কয়েকজন নিরীহ হকার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান ।
হকারদের অনেকেই সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, এবার প্রমাণ হয়েছে র্যাব ও পুলিশের এসপির নাম ব্যবহার করে এতো দিন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলো এই ধূর্ত অপরাধী সোহেল ও তার বাহিনী । র্যাবকে সাধুবাদ জানিয়ে সাধারণ হকাররা বলেন, এবার র্যাবের কর্মকর্তাদের প্রতি দাবী রইলো এই চান্দাবাজ সোহেল কার কার মাঝে এই চাঁদা বন্টন করতো তা উদঘাটন করতে সোহেলকে আটক করে তার কাছ থেকে তথ্য আদায়ের পর প্রকাশ করলেই অপরাধীরা এই শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে ।









Discussion about this post