শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে বন্দরে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দরের কবিলের মোড় এলাকায় নির্বাচনী কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবীর নানক আরো বলেন, “আমরা এখানে এসেছি, জননেত্রী শেখ হাসিনার সালাম পৌঁছানোর জন্য। শেখ হাসিনা আপনাদেরকে সালাম জানিয়েছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবং তিনি বলেছেন, ‘আমার আইভী যেভাবে উন্নয়ন করেছে, আমার আইভীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে, এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে, এই উন্নয়নের গতি সঞ্চার করা হবে।”
‘ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এই নারায়ণগঞ্জে উড়ে এসে জুড়ে বসে নাই’ মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “তার বাবা, আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন নেতা চুনকা ভাই, এই নারায়ণগঞ্জে ৭৫ এর পর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। জনগণের হৃদয়ে সঙ্গে সম্পর্ক করে, তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। সেই চুনকা ভাইয়ের মেয়ে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গত দুই দুইবার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন আপনারা। আপনারা আপনাদের পবিত্র আমানত খেয়ানত করেননি, আপনারা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আপনাদের বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী করে নাই।”
বন্দরের এই চেহেরা ছিল কিনা, প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “এই বন্দরকে উন্নয়ন করেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সেই আইভী আপনাদের কাছে ভোট চাইতে পারে। সে যদি আপনাদের কাছে হাতজোড় করে ভোট ভিক্ষা চাইলে আপনারা কী তাকে ফিরিয়ে দিবেন?”
‘ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত স্নেহ করেন এবং নিজের সন্তানের মত মায়া করেন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আপনাদের পক্ষ থেকে, উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার যা কিছু চাইবে শেখ হাসিনার কাছে, শেখ হাসিনা তা দিয়ে দিবে।”
নানক বলেন, নির্বাচন আসলে এই নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ধরণের কথাবার্তা আসে। কিন্তু এই জনসভা প্রমাণ করে দিয়েছে, “কোনো হুমকি ধামকি, মিথ্যাচারের কাছে এই বন্দরের মানুষেরা হার মানবে না, পরাজিত হবে না। বিজয় হবেই হবে ইনশাল্লাহ।”
‘ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করবেন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গত নির্বাচনে ৮৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে। এরপর তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, নারায়ণগঞ্জে যে উন্নয়ন করেছেন, সে হিসেবে এবার তাকে লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করানো উচিত।”
‘ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কেউ দুর্নীতিবাজ বলতে পারে না’ জানিয়ে নানক আরও বলেন, “ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী একজন সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি। সে হিসেব তাকে বিপুল ভোটে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা দায়িত্ব আপনাদের।”
‘নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন চেহারা উল্লেখ করে এবং যারা কুৎসা রটনা করে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা বক্তব্য দেন’ তাদের উদ্দেশ্য করে জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, “ইজ্জত দেওনেওয়ালা আল্লাহ। কাজেই কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করে রেহাই পাবেন না।”
বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল, সুজিত রায় নন্দী, শাহাবউদ্দিন ফয়রাজি, সাবেক এমপি সানজিদা খানম। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ মির্জা আজম ও নজরুল ইসলাম বাবু মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা কোনো বক্তব্য রাখেননি।
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাড. খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি কাজিম উদ্দিন প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেনসহ অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন ।









Discussion about this post