‘আমি যদি মইরাও যাই তাহলে জানাযা পড়ে পড়বেন আগে মিটিং করবেন। আপনারা মাটির তাপ দেখাবেন। জনগণের তাপের সামনে কোন শক্তি নাই। এই বায়তুল আমানে আওয়ামী লীগ তৈরি হয়েছে। এখানে কেউ খেলতে পারবে না। আমি মরি কিংবা বাচি সাত তারিখের মিটিংটা যেন ইতিহাসে লেখা থাকে। নারায়ণগঞ্জের মাটিতে সেদিন চাড়া নাচবে।’
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
আবারো গভীর ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ঈঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যে বলেছেন, ‘একটা গভীর ষড়যন্ত্র সারা দেশে হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জও তার চেয়ে বিচ্ছিন্ন না। ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে স্থানীয় ষড়যন্ত্র যোগ হয়েছে। এর পেছনে টাকাও রয়েছে। মোটা অংকের টাকা হয়তো এসেছে নারায়ণগঞ্জে। এখন কারা কি করছে আমি সব খবরই পাচ্ছি। একটু আগেই পাচ্ছি। কোন হোটেলে মিটিং হচ্ছে, কোথায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে সব জানি। সব বললে অনেকে চেহারা দেখাতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চবটিতে আকবর টাওয়ারে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি দীর্ঘ আলোচনায় এমন মন্তব্য করেছেন ।
সব কিছুর বক্তব্য দেওয়া হবে ৭ তারিখে (৭ সেপ্টেম্বর)। চাষাঢ়া শহীদ মিনার অথবা আশেপাশে সেখানেই সমাবেশটি হবে। যারা নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাদের বিরুদ্ধেই এ সমাবেশ হবে যাতে তাদের বুক থর থর কাঁপে। সে সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি ঘটাতে হবে। এ সমাবেশ দেখে শেখ হাসিনা যেন গর্ববোধ করতে পারে।’
শামীম ওসমান তার বক্তব্যে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিনা অপরাধে নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিলে কেউ চুপ থাকবে না । আমি আমাকে নিয়ে আলোচনা করছি না। কারো ক্ষমতা থাকলে, মারতে পারলে মাইরা দেন। কিন্তু বিনা অপরাধে নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিবেন আর আমরা লেবেনচুষ চুষবো, এটা তো ঠিক না।’
শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘সেখানে আরো কিছু নেতাকর্মীকে টার্গেট করা হচ্ছে যারা রাজপথ থেকে তৈরি হয়ে আসা নেতা। কাউন্সিলর, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ইয়াং আওয়ামী লীগ নেতা যারা আছে তাদের টার্গেট করা হচ্ছে।’ যেখানে জানানোর দরকার জানাচ্ছি। যেখানে বলার দরকার বলছি। প্রবলেমটা হইছে সরকারি দল। সরকারি দল না হইলে এতো বড় বড় সিনিয়র নেতা দরকার ছিল না। শুধু তোলারাম কলেজের ছাত্রদের দিয়াই হইয়া যাইতো। যে কর্মীরা আমার জন্য এতো কিছু করছে তাদের কেউ বিনা কারণে আচড় দিয়া দিবে, তাদের নামে বদনামের সিল লাগায়ে দিবে ? না! আওয়ামী লীগকে বদনাম করার চেষ্টা করলে চলবে না । আমরা সবাই শেখ হাসিনার কর্মী।’
ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শওকত আলী, সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ, এমএ আউয়াল, যুগ্ম সম্পাদক বিএম শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালী মাহামুদ, বদিউল আলম বদু, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শিরিন বেগম, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোমেন শিকদার, প্রচার সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন প্রধান, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ভুইয়া, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজ্জাক মাস্টার, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: জুয়েল হোসেন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, সাধারন সম্পাদক এমএ মান্নানসহ অনেক নেতাকর্মী ।









Discussion about this post