সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই শ্মশানের মাটি কবরস্থানে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে বাবা-মা ও বড় ভাইসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের ওপর থেকে শ্মশানের মাটি সরিয়ে নেওয়ার কাজ দেখতে মাসদাইর কেন্দ্রীয় সিটি কবরস্থানে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা। কবরস্থানে শ্মশানের মাটি ফেলে এই সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে অপমান করার বিচার সরকার করবে।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘যে বা যারা এ কাজটি করেছেন বা করিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশে আজ বলতে চাই, এটা (কবর) মানুষের শেষ ঠিকানা। এই অমানুষিক কাজটি যারা করেছে তারা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করেছে। শোকের মাস আগস্টে যারা মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদদের কবর নিশ্চিহ্ন করেছে, আমি মনে করি, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অবমাননা এবং অপমান করেছেন।’
শামীম ওসমান বলেন, তাঁর পরিবারের সদস্য, বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্তত অর্ধশত কবর মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। কবরস্থানের প্রায় ৫০টি কবরের উপরে কয়েক ফুট মাটি দেওয়া হয়েছে। এসব কবরে কার দেহাবশেষ কোথায় তা খুঁজে পাওয়ার উপায় নেই।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে এই কবরস্থানে বাবা-মা ও বড় ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে এসে শামীম ওসমান দেখতে পান, সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কবর শ্মশানের মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও শ্মশানের পোঁড়া মাটি কবরস্থানে ফেলে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাসহ অর্ধশত কবর ভরাট করা হয়। গতকালই এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে শ্মশানের মাটি দিয়ে ভরাটকৃত সবগুলো কবর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেন শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান নেতাকর্মসীদের সাথে নিয়ে কবরস্থান পরিদর্শন শেষে বাবা-মা ও বড় ভাইয়ের কবরে গিলাফ চড়িয়ে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।









Discussion about this post