বিকেএমইএ এর সহ-সভাপতি, সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী আন্দোলনের বলিষ্ট কণ্ঠ, শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের ১৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালী ও দোয়া মাহফিল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১০.৩০ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিশাল শোক র্যালী বের হয়।
সাব্বির আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী ছিলেন ।
তিনি বিএনপি নেতা এ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই। ২০০৩ সালের এদিনে তিনি দূর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন তিনি।
র্যালী পূর্ব সমাবেশে অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.আজাদ বিস্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব, আইনজীবি নেতা এড.সরকার বোরহান, এড. হামিদ ভাসানী, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি নাসির উদ্দিন, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন।
অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার বলেন, ‘আমার ভাইকে কোন ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। শুধু মাত্র সমাজসেবায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীদের নাম উল্লেখ্য করে এবং তারা কে কত টাকা পায় এসব বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজও আমার ভাইয়ের হত্যা বিচার পাইনি। শুধুমাত্র টাকার কাছে হেরে গেছি। হত্যাকারীরা টাকা দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ চার্জশীট করিয়েছে। তাই আজও বিচার পাইনি। খুনিরা আবারো ঢাকায় ফিরে আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি ১৮ই ফ্রেবুয়ারীকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষনার দাবী করেন।
১৮ই ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষনার দাবী করে বক্তারা বলেন, আজ যেই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার সহ দেশবাসী কথা বলছে, সেই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শহীদ শাব্বির আলম খন্দকার নব্বইয়ের দশক থেকেই সোচ্চার ছিলেন। তিনি মাঠ পর্যায়ে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় মাদক ও সন্ত্রাসের গডফাদারদের চক্ষুসূলে পরিনত হন। সমাজের ও দেশের চিন্তা করেই একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়েও অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েও তার হত্যার বিচার পাইনি তার পরিবার।
শোক র্যালীর আগে মাসদাইর সিটি কবরস্থানে শহীদের কবর জেয়ারত, দোয়া মাহফিল সকালে ৯.০০ টায় মাসদাইরে মানববন্ধন করে বিএনপির নেতারা।
উল্লেখ্য যে ২০০২ সালের ২২ শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসে অনুষ্ঠিত জেলার ৩২ টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সেনাবাহিনীর মত বিনিময় সভায় শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার “আমার জানাযায় অংশ গ্রহন করার আহবান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করছি” বলে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নাম, ঠিকানা ও তাদের গডফাদারদের নাম প্রকাশ করেন এবং সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্দে জিহাদ ঘোষনা করে নারায়ণগঞ্জবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্ঠা করেন।
চার মাস পর ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রাত: ভ্রমন কালে আততায়ির হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।









Discussion about this post