স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকার ফুটবলার সালাউদ্দিন দেওয়ানকে ১শ পিছ ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় সদর থানার দরোগা নাজমুলকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার ঘটনায় পুলিশ সুপারকে সাধুবাদ দেয়ার পাশাপাশি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে শহরজুড়ে ।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারী) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা পাইকপাড়া এলাকায় নাট্য ব্যাক্তিত্ব আনিসুর রহমান বাবুলের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে এসে মুসুল্লীদের সাথে আলোচনাকালে বলেন, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ সম্পর্কে এতোদিন অনেক কথা শুনেছি । কিন্তু নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব নেয়ার পর তার কোন সমালোচনা আজো কেউ করতে পারছে না। আজকে দারোগা নাজমুলকে ক্লোজ করায় পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল হলো। এখন প্রশ্ন হলো দারোগা নাজমুল এতো ইয়াবা কোথা থেকে পেলো ?
ব্যাপক সমালোচনার এক পর্যায়ে পাইকপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো বলেন, পুলিশ পাইকপাড়ায় এলাকাবাসীকে নানাভাবে হয়রানী করে রাজনৈতিক কারণে। এলাকার প্রভাব বিস্তার করতে কেউ কেউ পুলিশকে ব্যবহার করে। ফুটবলার সালাউদ্দিন সব সময় ই মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আর সেই মাদক মামলাই সালাউদ্দিনকে জেল খাটতে হচ্ছে । এর চাইতে লজ্জার আর কি আছে ।
এর আগে এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবী করেছিলো এই দারোগা নাজমুল । যার রেকর্ডও দেখায় অনেকেই । ঠিক একই কায়দায় দারাগা নাজমুল ফুটবলার সালাউদ্দিনের পরিবারের সামনেই সালাউদ্দিনকে পিটিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবী করে দরকষাকষি করেছিলো ।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের আন্তরিকতায় দারোগা নাজমুল ক্লোজ হলেও এখন দেখা উচিৎ নাজমুল এতা ইয়াবা কোথা থেকে পেলো। মাত্র কয়েকদিন চাকুরী জীবনে এতো দুঃসাহসিক অপরাধ করার মতো কর্মকান্ড করলো কি করে তাও খতিয়ে দেখা উচিৎ। একজন নিরপরাধ মানুষ যদি এইভাবে হয়রানীর শিকার হয় তাহলে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
এই ব্যবসায়ী আরো বলেন, আমি কাউন্সিলর বাবুর নির্বাচনে কাজ করেছি । কারণ বাবুকে দেখেছি নির্বচনে ফেল করেও এলাকাবাসীর জন্য কাজ করতো । সাবেক কাউন্সিলর আলমগীরের মাদক ব্যবসা, ভ’মিদস্যুতা দেখে এলাকার মানুষ অতিষ্ট ছিলো। তাই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আবদুল কারম বাবুর পক্ষে দিন রাত কাজ করে আজ যে ফল পাচ্ছি তাতে আমরা এলাকাবাসী লজ্জায় মুখ দেখাতে পারি না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো কয়েকজন মুসুল্লী বলেন, ভাই আপনারা সাংবাদিক, আমাদের নাম ছাপায়ে দিলে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করবে। একজন নিরপরাধ সালাউদ্দিন কিভাবে জেল খাটাচ্ছে তা তো বুঝতেই পারতেছেন। সবশেষ এলাকাবাসীর দাবী সালাউদ্দিনকে দ্রুত মুক্তি ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দারোগা নাজমুল এই ১শ পিছ ইয়াবা কোত্থেকে পেলো এবং এর নেপথ্যের মূল হোতার মুখোষ উম্মোচন করলেই জেলা পুলিশের প্রতি জনসাধারণের শ্রদ্ধাবোধ আরো বৃদ্ধি পাবে।
(কয়েকজন এলাকবাসীর এমন সমালোচনার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে)









Discussion about this post