সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সোনামিয়া বাজারে ঈদের শুভেচ্ছা ফেস্টুন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেয়া দিয়েছে ব্যবসায়ী মহলে।
সোনামিয়া বাজার বণিক সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি সাইদুল হক রাতের আধারে বেশ কয়েকটি শুভেচ্ছা ফেস্টুন লাগিয়েছে।
একই সাথে সাইদুল হক নিজেকে সভাপতি বলে পরিচয় দেয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে ।
অভিযোগ রয়েছে সে স্বর্ণ চোরচালান চক্রের সদস্য। ইতিপূর্বে তার অন্যতম দুই সহযোগি চোরাই স্বর্ণসহ গ্রেফতার হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের একাধিক সূত্র জানায়, আবু কালাম, রফিকুল ইসলাম ওরফে নাডা রফিক এবং সাইদুল হক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা স্বর্ণ চোরাচালান চক্রেও সদস্য। ইতিমধ্যে সাইদুল হকের দুই সহযোগি আবুল কালাম এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে নাডা রফিক একাধিকবার চোরাই স্বর্ণসহ গ্রেফতার হয়েছে। এরমধ্যে আবু কালাম আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকায় চিহ্নিত স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সক্রীয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। একাধিকবার সে গ্রেফতার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া সাইদুল হকের ঘনিষ্ট সহযোগি রফিকুল ইসলাম ওরফে নাডা রফিক সবশেষ ১৪ কেজি স্বর্ণসহ গ্রেফতার হয়েছিল।
ব্যবসায়িরা আরও জানায়, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারির নির্বাচনে মাত্র ৯ ভোটের ব্যবধানে সাইদুল হক নির্বাচিত হয়। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার অল্পদিনের মধ্যে তার আসল রূপ ফুটে উঠে ব্যবসায়িদের কাছে। নির্বাচনের আগে বাজারের উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতির বাণী শুনালেও কার্যত তার কিছু করেনি দীর্ঘ সময়ে। এরমধ্যেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ব্যবসায়িদের একটি অংশের কাছে কমিশন সাইদুল নামেও সে পরিচিত। বিভিন্ন ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান থেকে কমিশন বাণিজ্য করে সে। বিভিন্ন কোম্পানীর সাইনবোর্ড থেকেও কমিশন খেয়েছে। যা নিয়ে বাজারের ব্যবসায়িদের মধ্যে নানা গুঞ্জন রয়েছে। নিজের স্বার্থ ছাড়া সাইদুল ব্যবসায়িদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন কাজ করেনি গত ৬ বছরে। অযোগ্য এক সভাপতি হিসেবে সে দায়িত্ব পালন করে গেছে।
এদিকে কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ গুলু মেম্বারের ঈদ শুভেচ্ছার ফেস্টুন দেখে কাউন্টার হিসেবে সাইদুল রাতের আধারে ফেস্টুন লাগিয়েছে। তাছাড়া সাইদুল নিজেকে আওয়ামীলীগ তথা এমপি শামীম ওসমানের লোক পরিচয় দিলেও তার শুভেচ্ছা ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী এমনকি এমপি শামীম ওসমানের ছবি নাই।
এ বিষয়ে বণিক সমিতির সভাপতি সাইদুল হকের সাথে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর পক্ষ থেকে যোগযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, আবু কালাম ও নাডা রফিক তার বন্ধু। এবং তারা স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত তাও স্বীকার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমি শুভেচ্ছা ফেস্টুন লাগাতেই পারি। এতে সমালোচনা করতেই পারে।









Discussion about this post