নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে রাস্ট্রয়াত্ব জ্বালানী তেলের ডিপোকে কেন্দ্র করে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে চোরাই তেলের রমরমা করাবার । এই দুই এলাকায় চোরাই তেল কারবারীরা সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের শেল্টার নিয়ে নদীতে এবং স্থল পথে চোরাই তেল কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বিরামহীনভাবে ।
প্রশাসনের কোন কোন নেতা কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করলে দেখা যায় সাড়াসী অভিযান । ধরা পরে চোরাই কারবারীরা ।
এরপর যেই লাউ সেই কদু ।
অভিযান বন্ধ হলে আবার চলে আবারো একই কর্মকান্ড । এভাবেই আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তাদের বিশেষ করে ওসি ও এসপি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অভিরাম চলছে চোরাই তেলের রমরমা কারবার । মাঝে মধ্যে পুলিশের কিছু অভিযানে দেখা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শীর্ষ কর্তাদের মৌখিক আদেশে থানা পর্যায়ের কর্তারা থাকেন অসহােয়ের ভূমিকায় ।
তাই উৎকোচ নিয়েই তুষ্ট থেকে বিতর্ক এড়াতে চায় অনেকেই । তরে প্রায়ই দেখা যায় র্যাবের চোরাই তেল কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ।
যা আইনশৃংখলা বাহিনীর সুণাম রক্ষা করে । র্যাবের এমন অভিযান না দেখা গেলে পুরো আইনশৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো মারাত্মকভাবে । ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের জ্বালানী তেলের ডিপোকে কেন্দ করে চোরাই কারবারীদের অনেকেই প্রায়ই থাকে অধরা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা রোড বার্মা স্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩৭ টি ড্রাম ভর্তি ৭,৬৬০ লিটার চোরাই ডিজেল উদ্ধার করেছে র্যাব – ১১ ।
রবিবার ( ২৫ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫ টায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে এ চোরাই তেল উদ্ধার করে। এসময় চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ শাহাজাহান (৩৫)’কে গ্রেফতার করা হয়। চোরাই কাজে ব্যবহৃত ০১টি নীল রংয়ের ছোট পিকআপ ভ্যান, ০৩টি ভ্যানগাড়ী ও চোরাই ডিজেল ক্রয়-বিক্রয়ের নগদ ৫০,৬০০/- টাকা জব্দ করা হয়।
রবিবার বিকালে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সিপিএসসি আদমজীনগর) মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে ।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ও মেঘনা ডিপো। উক্ত এলাকায় ডিপো কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি চোরাই তেলের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে যা বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকায় খবর ও অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে আসে। এই ডিপো হতে প্রতিদিন শত শত তেলের লরী তেল ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। এই সিন্ডিকেটের কাছে কিছু অসাধু লরীর ড্রাইভার ও হেলপার নামে মাত্র মূল্যে তেল ভর্তি লরী থেকে তেল চুরি করে বিক্রি করে। চোরাই চক্র এই তেলের সাথে ভেজাল তেল মিশিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। এই তেল ব্যবহার করে গাড়ীর ইঞ্জিন ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত আসামী পলাতক আসামীর পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ উপায়ে জ্বালানী তেল সংগ্রহ এবং মজুদ করে অবৈধভাবে কেনাবেচা করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এই চোরাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।









Discussion about this post