সুনামগঞ্জের জনপ্রিয় ডাক্তার গৌতম রায় নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
কদিন আগেই তিনি জামালপুরের সিভিল সার্জন থেকে পদোন্নতি পেয়ে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের উপপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। গরিবের ডাক্তারই নন, রাত ২টা পর্যন্ত গ্রাম থেকে ছুটে আসা রোগীদের সেবা দিতেন গৌতম রায়। গৌতম রায় সুনামগঞ্জবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গৌতম রায়ের কাছে কখনো কোনো মানুষ চিকিৎসা চেয়ে ফিরে আসেননি। টাকা কেউ দিলে দিলো না দিলে নাই। অমায়িক বিনয়ী গৌতম রায় গভীররাতে ও মানুষের বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিতেন।
ডাক্তার গৌতম রায় বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আইসোলেশনে আছেন। গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে জানান, সবার দোয়া চান এবং তিনি মানসিক শক্তি রাখেন।
এদিকে সুনামগঞ্জবাসীর কাছে গরিবের ডাক্তার খ্যাত গৌতম রায়ের করোনা শনাক্তের সংবাদ পেয়ে অসংখ্য মানুষ ফেসবুকে তার সুস্থতা কামনা করে স্টাটাস দিয়েছেন। তার করোনা আক্রান্তের খবর সুনামগঞ্জে জানাজানির পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন শত শত মানুষ। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভাইরাস থেকে তার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছেন।
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের একজন চিকিৎসকের প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে ওই হাসপাতালের গাইনি বিভাগের এক চিকিৎসকের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আক্রান্ত হন হাসপাতাল সুপারের সহকারীর (পিএ) সিদ্দিক।
এরপর ওই হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্টাফকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত নমুনায় নতুন করে আরো ১৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. গৌতম রায়, নার্স, অফিস সহকারী, স্টোর কিপার, ওয়ার্ড বয় রয়েছেন।









Discussion about this post