নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের অর্থায়নে দরিদ্র ও অসহায় ৫০০ পরিবারের মাঝে একটি করে মুরগিসহ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এমন ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন । এমন ঈদ সামগ্রী বিতরণের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে পুরো শিল্পাঞ্চল ফতুল্লাজুড়ে ।
অনেকেই নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে ফোন করে গিয়াস উদ্দিন ওরফে ডাকাত গিয়াসসহ তার পরিবারের সদস্যদের নানা কুকর্ম তুলে ধরে কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন একজন ছিচরে চোর থেকে ডাকাত সর্দার কি করে আওয়ামীলীগের মতো একটি দলের পদ হাতিয়ে নিয়ে আবার বীরদর্পে নানা অপরাধ করেই চলেছে । জেলা আওয়ামীলীগ কি এগুলির খোজ খবর রাখে না ?
অনেকেই গিয়াস উদ্দিন ও তার শেল্টারদাতাদের কুকর্ম উল্লেখ করে বিগত দিনে প্রকাশিত সংবাদের অংশ বিশেষ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর কাছে প্রেরণ করে তীব্র ভাষায় মন্তব্য করে বলেছে ,যার প্রয়াত বাবা পেটের দায়ে চুরি করতে গিয়ে ধরার পরার পর খোদ গিয়াস উদ্দিন ওরফে ডাকাত গিয়াস নিজেই বাবা কোরবান আলীর মুখমন্ডলে লাথি মেরে বলেছিলেন, ‘আমি তো এখন চুরি করি না আমি ডাকাতি করি, তুই চুরি না করে ডাকাতি করতে পারিস না !” সেই গিয়াসের বোন পেটের দায়ে (………. …….. …….) কাজ করতো । আর এখন ওই গিয়াস দরিদ্রদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছে অপরাধের টাকায় । “সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ !” এমন মন্তব্যও করেছেন কাশিপুরের কেউ কেউ । যার ভয়েস রেকর্ড রয়েছে নাারয়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর দপ্তরে ।
নিম্নে দেয়া হলো বিগত সময়ে প্রকাশিত গিয়াস উদ্দিনের নানা অপরাধের ফিরিস্তি :
বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮ প্রকাশিত সংবাদ
সাংবাদিকরা আমার কাছ থেকে দান দক্ষিনা নেয় !
# সাইফ উল্লাহ বাদল আমার নাম ভাঙ্গায়ে চলে-গিয়াসউদ্দিন
কথায় আছে, “ময়লা যায় না ধুইলে আর খাসলত যায় না মইলে (মরলেও)” এমন প্রবাদের সত্যতা প্রমাণ করে চলেছে সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অলিখিত গডফাদার গিয়াসউদ্দিন ওরফে ডাকাত গেসু।
পেটের দায়ে দেশ স্বাধীনতার পূর্বে ছিচকে চোর গেসু দলবল নিয়ে জাহাজে চুরি করতে গিয়ে ধরা পরলে সকলকে হত্যার পর মৃত ভেবে নদীতে ফেলে দেয়ার পর কচুরীপানা আকড়ে ধরে বেঁচে যাওয়া গিয়াস উদ্দিন ওরফে ডাকাত গেসু বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। এরপরও থামছে না গেসুর নানান অপকর্ম। ভুমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে পুরো এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ শালিসের নামে অর্থ আদায় করা এখন চোর গেসুর নিত্তনৈমিতিক কর্মে পরিণত হয়েছে। অতিস্ট জনসাধারণ ক্ষোভে ফুসে উঠলেও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে কেউ টু শব্দ করার সাহস করে না।
অসংখ্য অভিযোগ থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার ফতুল্লার শিল্পাঞ্চলের কাশিপুর ভোলাইলের সকল অপকর্মের হোতা ছিচকে চোর গিয়াস উদ্দিন ওরফে ডাকাত গেসু গত কয়েক দশক থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি, ভুমি দখল, ভুমিদস্যুতা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ এমন কোন অপকর্ম নাই যা গেসু এবং তার বাহিনী দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে না। বর্তমানে বৃদ্ধ অবস্থায় এখনো সকল ধরণের অপরাধ চালিয়ে পুরো এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের সকলকেই অতিস্ট করে তুলছে। কাশিপুর ভোলাইল, চর নংরসিংপুর, চর কাশিপুরসহ আশেপাশের বিশাল এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে নিজেই রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে।
ডাকাত গেসু ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ভয়ে অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আশেপশের সকল এলাকায় গিয়াস বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। হাজারো অপকর্ম করলেও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সাইফ উল্লাহ বাদলের দোহাই দিয়ে এলাকাবাসীকে নানাভাবে হয়রানী করে আসতেছে। ডাকাত গেসু বাহিনী ছাড়াও ফতুল্লা থানা পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের দিয়ে এলাকার প্রতিবাদীদের নানাভাবে হয়রানী করায় এলাকার সকলেই এখন বাকরুদ্ধ। বিশাল এই এলাকার যে কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী বাড়ী অথবা কলকারখানা করতে উদ্যোগী হলে প্রথমে ডাকাত গেসুকে বিশাল অংকের চাঁদা দিতে হবেই । নইলে কোন অবস্থাতেই ব্যবসা অথবা বাড়ী করতে পারবে না কেউ। সেই সাথে বাড়ী অথবা কল কারখানায় বিদ্যুৎ নিতে হলেও গেসু বাহিনীর অনুমতি নিয়েই সংযোগ নিতে হবে অবৈধভাবে আর প্রতিমাসে এই অবৈধ সংযোগের বিল গ্রহণও করে আসছে গেসু বাহিনীর সদস্যরাই।
প্রতিমাসে চাঁদাবাজি, ভুমিদস্যুতা, অবৈধ সংযোগ ও শালিসী বৈঠক করে কম করে হলেও ২০/২৫ লাখ টাকা আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা থাকে গিয়াস উদ্দিনের নিজের ই।
প্রকাশ্যে এমন অপকর্ম করার ঘটনায় দম্ভাকারে ডাকাত গেসু এলাকাবাসীকে জানায়, “আমার প্রতি মাসে খরচ ৬/৭ লাখ টাকা, এভাবে টাকা না কামালে কি করে খরচ মিটাবো !”
গত বছর কাশিপুর, ভোলাইল, চর নংরসিংপুর, চর কাশিপুরসহ আশেপাশের এলাকায় তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাগণ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শাহজালালের উপস্থিতিতে হাজার হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আবার একই কায়দায় ডাকাত গেসু ও তার গুণধর পুত্ররা মিলিত হয়ে প্রতিটি বাড়ীতে পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে ৫০/৬০/৭০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয় । যা এখনো চলছেই অবৈধভাবে।
এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, আমি কোন অপকর্ম করি না। আমি এলাকায় দান দক্ষিনা দিয়ে সকলের সাথে মিলে মিশে থাকি । আর সাইফ উল্লহা বাদলের নাম আমি ব্যবহার করি না উল্টো সাইফউল্লাহ বাদল আমার শেল্টারে/আমার নাম ভাঙ্গায়ে নানা অপকর্ম করে। বাদল কে জিজ্ঞেস করেন সে নাকি আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চলে কি না । আমি কামাইছিলাম সব দান কইরা দিছি । ৫ বছর ধইরা সব ছাইরা দিছি আমি । আপনাদের কিছু চাওয়ার থাকলে আমারে কইয়েন। সাংবাদিকদের অনেকেই আমার কাছ থেকে দান দক্ষিনা নেয় ।
শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ প্রকাশিত সংবাদ :
চুরি-ডাকাতি আর পতিতা ব্যবসায়ী গেসু বর্তমানে দন্ডমূন্ডের কর্তা!
# পিতা পুত্র ও তাদের সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি কাশিপুর ভোলাইলবাসী
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের এক আতংকের নাম হাজী গিয়াসউদিন ওরফে ডাকাত গেসু আর কত অপরাধ করলে আইনশৃংখলা বাহিনীর টনক নড়বে ? আর কত চাঁদাবাজির ঘটনা, ভুমিদস্যুতার শিকার হলে প্রশাসন অপরাধী এই চক্রের হোতা গিয়াস ও তার মেম্বার পুত্র শামীমসহ পুরো বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে পারবে ? এমন অসংখ্য প্রশ্ন জিম্মি হয়ে পরা সাধারণ মানুষের মুখে উচ্চারিত হলেও রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে মুখ খুলতে সাহস পায় না কেউ। সকল সরকারের শাসনামলে রাজনৈতিক দলের নেতাদের ব্যবহার করে কেটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ডাকাত গিয়াস ও তার বাহিনী । এ যেন মগের মুল্লুকে পরিণত করা হয়েছে।
পেটের ক্ষুধার যস্ত্রণা সইতে না পেরে ডাকাত গিয়াসের বাবা কোরবান আলী নিজেই যেমন চুরি করতো ঠিক তেমনি বাবার পেশা গ্রহণ নানাভাবে প্রথমে চুরি পরে ব্যাংক ডাকাতির সাথে থেকে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো । আর গিয়াসের বোন নূর জাহান পেটের দ্বায়ে নারায়ণগঞ্জে টানবাজার পতিতা পল্লীতে আশ্রয় নেয়। সেই গিয়াস ও তার পরিবার এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। নানা অপকর্ম করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও এই পবিত্র রমজানেও চাঁদাবাজি, অন্যের জমি দখল, মাদক ব্যবসার রমরমা কারবার, গ্যাস ও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিরামহীন ভাবে ।
আতংকের জনপথ কাশিপুর ভোলাইল ও আশেপাশের এলাকার দন্ডমূর্তের কর্তা ডাকাত গিয়াস, তার পুত্র মেম্বার শামীম এবং বিশাল অস্ত্রধারী বাহিনীর ভয়ে কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নারায়ণগঞ্জে ভুমি কার্যালয়, থানা পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সকল সংস্থার কে না জানে কাশিপুর ভোলাইল, চর নরসিংপুরসহ আশেপাশের এলাকায় ডাকাত গেসু, তার ছেলেরা এবং সহযোগি সন্ত্রাসীরা কতটা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে । এই রমজান মাসে কোটি টাকার লক্ষমাত্রা নিয়ে অন্যের সম্পত্তি দখল, অবৈধভাবে সংযোগ দেয়া গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল নিজেদের হাতে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ড্রেজার ব্যবসার নামে সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে অনেকের লাখ লাখ টাকা । নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও ফতুল্লা থানা পুলিশের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে নানাভাবে পিতা পুত্রের মনোরঞ্জনের আয়েজন করে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে এমন অপকর্ম ।
পিতা পুত্রের ভয়ংকর আচরণের কারণে কয়েকজন ব্যবসায়ী, সরকারী চাকুরীজীবী বাড়ী করতে গিয়ে জমি ফেলে এলাকা ছেড়ে চলে আসার ঘটনা অনেক । সম্প্রতি শামীম অন্যের জমি দখল করে রাস্তা নির্মান করতে গিয়ে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আতংকের সৃস্টি করে এলাকাবাসীর মাঝে।
আন্তঃজেলা ব্যাংক ডাকাত দলের মূল হোতা গিয়াসউদ্দিন বৃদ্ধ বয়সেও মাদক ব্যবসা, সেবন, নিজ বাড়ীতে নানাভাবে মনোরঞ্জনের আসর বসানোর ঘটনা ছাড়াও নারী দিয়ে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে ফুসে উঠেছে পুরো এলাকাবাসী । প্রায় ৩০/৪০ বছর যাবৎ এমন অপকর্ম করে বিএনপি সরকারের শাসনামলে শীর্ষ নেতা চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মদ, নারী, জুয়ার আসর বসিয়ে অপরাধের সা¤্রাজ্য অব্যাহত রেখেছে। ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে জেলা ও শহর আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকে নিয়মিত মদ, নারী ও নগদ অর্থ দিয়ে আবার কখনো নিজ বাড়ীতে আবার কখনো ভাড়া বাড়িতে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে । আবার ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণ করলে বিএনপির অনেক নেতাকে একই কায়দায় রক্ষনাবেক্ষন করতো। আর আওয়ামীলীগের পলাতক নেতাদের শহর ও শহরের আশেপাশে বাসা ভাড়া করে ডাকাত গেসু নিজেই নারীসহ সকল থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে অপরাধের পথ পরিস্কার করে রাখতো। এমন হাজারো অপকর্ম করে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও অপকর্ম বন্ধ না করে এলাকাবাসীকে অতিস্ট করে তুলেছে নানাভাবে।
এমন হাজারো অপরাধ সম্পর্কে গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে প্রতিবেদককে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে মন্তব্য করেন। আর তার পুত্র শামীম মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে দুই দফা ফোন এবং পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে ম্যাসেজ দিলে প্রথমে কোন সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে শামীম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সব অভিযোগ মিথ্যা । এক পর্যায়ে তার সাথে সাক্ষাত করার কথাও জানায়।









Discussion about this post