অবৈধ অর্থ আর মাদকের জন্য এমন কোন অপরাধ নাই যা কাউন্সিলর দুলাল কর্তৃক সংগঠিত হয় না ! মাদকের উপর ডুবে থাকা একজন কাউন্সিলর টাকার জন্য চোরাই তেলের গডফাদার, পুরো অঞ্চলে মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ, চোরাই বিদ্যুৎ, চোরাই গ্যাসসহ সকল ধরবেন অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে এই দুলাল ।
এতো অপকর্মের পর খোদ থানা পুলিশের (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করার পর আর কে ঠেকায় এই অপরাধীকে । মাদক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী কাউন্সিলর দুলালের সাথে ওসিসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের এমন আস্ফালন দেখে পুরো বন্দর এলাকাবাসীসন নারায়ণগঞ্জের সকলেই হতবাক হয়েছে ।

তাহলে আর এই অপরাধীকে ঠেকাবে কে ? পরিবার ? তার পরিবারের সকলেই কাউন্সিলর দুলাল কর্তৃক নিগৃহীত । নেশা ও অপরাধী কার্যক্রমে ডুবে থাকায় নিজ গৃহ ছেড়ে কখনো স’ মিলে আবার কখনো গোপন আস্তানায় নানা অপকর্মে ব্যস্ত থাকে বলেও জানায় কাউন্সিলর দুলালের ঘনিষ্ঠজন !
অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৩নং ওয়ার্ডে চিতাশাল এলাকায় রাতের আঁধারে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। তবে এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা, বাসাবাড়িতে নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ১২ মার্চ রাতে কাউন্সিলর সাইফুউদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের বাড়ির পশ্চিম পাশে গলির ভিতর দিয়ে মাটি খুঁড়ে প্রায় ৩শ’ ফুট পাইপ বসিয়ে পুরো আবাসিক এলাকায় দেয়া হচ্ছে গ্যাস লাইন সংযোগ। আর এ গ্যাস সংযোগ কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের নির্দেশে দেয়া হচ্ছে বলে জানান চিতাশাল এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে দিল মোহাম্মদ।
দিল মোহাম্মদ এর সাথে কথা বললে তিনি আরও জানান, বিষয়টি কাউন্সিলর সাহেব জানেন, ওনি অফিসেই বসে আছে ওনার সাথে কথা বলেন সমস্যা নেই বলে জানান।
অভিযোগ রয়েছে, বন্দর থানা পুলিশের অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব তেমনি প্রাণহানীর মত বড় ধরনের দুঘর্টনার আশংকাও রয়েছে। এমনি বন্দরে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে সাংবাদিক শেখ ইলিয়াস। তবুও থেমে নেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ, প্রতিনিয়তই দিয়ে যাচ্ছে গ্যাস। নেই কোন প্রশাসনের তৎপরতা।
জানতে চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক সাইফুউদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের ব্যবহৃত ০১৯১৯…২৩৪/ ০১৪০….০৩০ এই নম্বরে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয় জানতে চেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি দুই দিন যাবৎ ছুটিতে আছি। এখন থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত তারিকুল আলম দায়িত্বে আছেন ওনার সাথে যোগাযোগ করুন।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত তারিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে আমরা কোন বক্তব্য দিতে পারি না। আপনারা তিতাসে ফোন দেন। আমাদের জানিয়েছেন আমরা টিম পাঠিয়েছি।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিভিউশন কোম্পানির যাত্রামুড়া শাখা কার্যালয়ের ডিজিএম মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।









Discussion about this post