সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ
বিশ্বব্যাপি মহামারির কারনে মানুষ দিশে হারা। কোথাও কোন সুখবর নাই। এ মাহা সংকটে এক ধরনের মানুষ এ মহা সংকটকে তাদের তামাশা মনে করছে। সোনারগাঁ উপজেলায় করোনা সংক্রমন কালে নিম্ন আয়ের অসহায় ও অসচ্ছল মানুষের সহায়তায় সরকার কর্তৃক ১০ টাকা কেজি চাল নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ভাগ বসিয়েছে বহুতল ভবনের মালিক কোটিপতি দুুই ভাই।
জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সীমানা ঘেষে জয়রামপুর গ্রামের সোনারগাঁ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের তিন তলা বাড়ির মালিক নজুমুদ্দিন মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান ও আবুল মোতালিব(বুট্টু)। বাড়ির মালিক আতাউর রহমানের মেয়ের জামাই ইয়ানবী সোনারগাঁ উপজেলা ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত এবং তার ছেলেও এসিল্যান্ড অফিসে কর্মরত। তারা উভয়ই সচ্ছলপরিবার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাদের নিজস্ব গাড়ি দিয়ে কারা চলাচল করে। স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে সখ্যতা করে প্রতারনার মাধ্যমে গরিবের ১০ টাকা কেজি চাউল ৪ দফায় প্রায় ১২০ কেজি হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলা থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে নজুমুদ্দিন মিয়ার ছেলে আতাউর ও মোতালিব (বুট্টু) বাড়ি। কয়েকটি গাড়িসহ বহুতল বাড়ির মালিক। একই বাপের এ দুই সন্তানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকে শ্রমজীবী প্রায় ১৫/১৬টি পরিবার। তাদের কোনো রকম অর্থসহায়তা না করে বরং তারা স্থানীয় কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপনের সাথে সখ্যতা করে ১০ টাকা কেজি চাউলের ৪ দফায় হাতিয়ে ১২০ কেজি চাউল। এতে বঞ্চিত হচ্ছে অসংখ্য অসহায় পরিবার।
প্রতারক এ বাড়ির মালিক মোতালিব(বুট্টু) জানান, আমার বড় ভাই আতাউর ও আমি দুইজনই সরকার কর্তৃক বিতরণকৃত ১০টাকা কেজি চাউল পেয়েছি। স্থানীয় কাউন্সিলর তপন আমাদের এ কার্ড করে দিয়েছে। সাংবাদিকরা জানতে চান আপনার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের কিছু চাউল দিয়ে দেন। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ চাউল আমাকে ও আমার বড় ভাইয়ের নামে দিয়েছে এখানে ভাড়াটিয়াদের দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
এলাকা বাসী আরো অভিযোগ করে বলেন, আতাউর এ চাউল নিজে খায় না। তাদের গৃহপালিত কবুতর ও মুরগীকে খাওয়ায়। যেখানে মানুষ খেতে পায় না।
পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেন তপন বলেন, আমার কল লিষ্ট দেখলে বুঝতে পারবেন অসংখ্য বার এ চাউলের জন্য তারা আমাকে ফোন করেছে। আমি ইচ্ছা কৃতভাবে করিনি। এটা ভুলবসত হয়ে গেছে পরবর্তীতে তাদের কার্ড গুলো বাতিল করা হবে।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, যদি এমন কোনো সামর্থ্যবান ব্যাক্তি এ অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।









Discussion about this post