শুরু হয়েছে সোনারগাঁয় উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তবে নির্বাচনে আগে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতায় সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ভোটাররা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সর্ম্পূন করেছেন। প্রশাসন জানিয়েছেন কোন অনিয়ন ধরা পড়লে কেন্দ্র বন্ধ করে অভিযুক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
জানা গেছে, ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁ উপজেলার ৮ টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষনা করে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ । এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে পিরোজপুর, কাঁচপুর, বারদী ও সনমান্দি কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় ইঞ্জিনিয়ার মাসুম, মোশারফ ওমর, লায়ন বাবুল ও জাহিদ হাসান জিন্নাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। তাই বাকি ৪ টি ইউপির মধ্যে শম্ভুপুরা , জামপুর , সাদিপুর ৩ টি লাঙ্গল ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া উপজেলার ৮টি ইউপিতে চেয়ারম্যানসহ মোট ৩৮৯ জন প্রার্থী ভোট লড়াই শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউসুফ উল রহমান জানান, আগামী রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোনারগাঁয়ের ৪ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কোন বিশৃংখলার কোন খবর পাই নাই। কেউ নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করলে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ দিকে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন ।
রোবাবার আজ (২৮ নভেম্বর) সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও বর্তমান সাংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার লড়াই তাদের দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের নিয়ে।
২৮ নভেম্বর শম্ভুপুরায় জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃনাসির উদ্দীন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়ছেন । তবে এ যেন নির্বাচন না । হয়ে উঠেছে দলের সম্মানের লড়াই । আর কে হবে চেয়ারম্যান শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সেটাই দেখার অপেক্ষায় শম্ভুপুরাবাসী । কারন ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে নৌকার দলীয় প্রার্থী নাসির উদ্দিনের নির্বাচনী প্রচারণা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন সাবেক এমপি কায়সার।প্রায় প্রতিদিনই শম্ভুপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এসে নৌকার প্রার্থীর ভোটের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ।
অবশ্য সোনারগাঁ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এর মধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ৪ টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী পিরোজপুর ইউপির ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুর রহমান মাসুম , বারদীর লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, কাঁচপুর ইউপির মোশারফ হোসেন, সনমান্দি ইউপির জাহিদ আলী জিন্নাহ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গিয়েছেন । বাকি চারটি নোয়াগাও আব্দুল বাতেন , জামপুরের মোঃহুমায়ন কবির ভূঁইয়া, সাদিপুরে মোঃআব্দুল রশিদ মোল্লা ও শম্ভুপুরা মোঃনাসির উদ্দীন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন হবে।চার ইউনিয়ন বাকি থাকলেও এখন সাবেক এমপি, জেলা ও সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অধিকাংশ সময় পার করছে শম্ভুপুরা ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দিনের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে।
এ যেন অন্যান্য ইউপির থেকে শম্ভুপুরা ইউপিসহ সকল নির্বাচন মান সম্মানের একটা কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন যেখানেই নির্বাচনী প্রচারণা হচ্ছে সেখানেই শম্ভুপুরা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ও ৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে নিয়ে করা হচ্ছে কটুক্তি । সরকারি বাজেট হাতিয়ে নেবার কথা উঠে আসছে তাদের বিরুদ্ধে
অন্যদিকে বর্তমান সাংসদ সদস্য হওয়ায় নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞা থাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রউফের কোন প্রচারণা করছেন না অংশ এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।তবে বর্তমান চেয়ারম্যান ও এমপি শম্ভুপুরা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বই সম্পূর্ণ ভোটাদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন । তারা যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।তাই নিজের মত করেই এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আব্দুর রউফ ।
সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণকালে এর মধ্যেই সকল ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ নিয়ে । তবে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুইজনের নির্বাচনী মাঠ ভালো হলেও নাসিরের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ । এলাকাবাসীর মতে নদী পাড় হয়ে কোন চেয়ারম্যান চাচ্ছেন না তারা।বর্তমান চেয়ারম্যান তাদের জন্য ঠিক আছে এবং তাকেই পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাচ্ছে শম্ভুপুরাবাসী ।
উক্ত ইউনিয়নের ভোটার ও নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে জানা যায় এই ইউনিয়নের মোট ভোটার ২৩ হাজার ১৯৬ জন, ১১ টি ভোট কেন্দ্রের ৫৬ টি স্থায়ী ও ৪ টি অস্থায়ী কক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।তবে নির্বাচনের দিন একাধিক কেন্দ্রে হতে পারে বিশৃঙ্খলা তাই এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবী প্রশাসনের কাছে আইনশৃঙ্খলা জোরদার ব্যবস্থা করা হোক।কারন ইতিমধ্যেই চরকিশোরগঞ্জ চরহোগলা লাঙ্গলের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রউফ নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে হয়েছে হামলার শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিরের সমর্থিত লোকদের মাধ্যমে।তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্পর ভূমিকা চাচ্ছে শম্ভুপুরাবাসি ।









Discussion about this post