চার বছরের অবুঝ শিশু মিথিলা (ছদ্মনাম)। দরিদ্র চা দোকানদার বাবার মেয়ে।
শুক্রবার ২৩ জুলাই দুপুরে জুম্মা নামাজের সময় সবাই যখন ব্যস্ত তখন লম্পট মোহাম্মদ সাঈদ (২২) পিতা -মৃত মুসকানদার আলী গ্রাম-খাইরা গাও থানা -ছাতক জেলা- সুনামগঞ্জ বর্তমানে গ্রাম- প্রতাপেরচর থানা – সোনারগাঁ জেলা-নারায়ণগঞ্জ বাসায় কেউ না থাকার সুযোগ নেয়।
নরপশু সাঈদ ছোট্ট অবুঝ শিশু মিথিলাকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে তার ঘরে নিয়ে যায়। চকলেট দিয়ে অবুঝ শিশু মিথিলাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছোট শিশুটির আত্ম চিৎকারে বাড়িতে থাকা তার মা এবং প্রতিবেশিরা এসে দরজা বন্ধ দেখে দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। সাঈদ দরজা না খুললে মিথিলার চিৎকারে তাকে বাঁচানোর জন্য তার মা এবং এলাকার লোকজন দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এলাকার লোকজন দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে নরপশু সাঈদ জানালা ভেঙে দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আসামিকে আটক করা হয়। সোনারগাঁ থানা পুলিশ আহত মিথিলাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে চিকিৎসা শেষে তাকে বাবা মার জিম্মায় দেওয়া হয়।
উল্লেখিত বিষয়ে ভিকটিমের বাবা থানায় অভিযোগ করলে নরপশু আসামি মোহাম্মদ সাইদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানার মামলা নং – ৩২ তারিখ – ২৩.০৭.২০২১ ধারা – ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধন ২০০৩) ধারা ৯(৪)(খ) রজু করা হয়।
আসামি সাইদকে ২৫ জুলাই রবিবার গ্রেপ্তার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমন তথ্য উল্লেখ করে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে জানান, সকল অভিভাবকদের প্রতি আহবান রইল আমাদের শিশুদের বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের ব্যাপারে খুব বেশি যত্নবান হতে হবে। মেয়ে শিশুদেরকে নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বাইরে যেতে দিবেন না। অন্য কারো বাসায় খেলতে গেলে সঙ্গে কাউকে পাঠান। আপনার শত ব্যস্ততার মধ্যেও শিশুদের যত্ন এবং খেয়াল রাখুন। শিশুরা একটু বড় হওয়ার সাথে সাথে কোনটি করণীয়, কোনটি বর্জনীয়, কার সঙ্গে চলাফেরা করা যাবে, কার সঙ্গে যাবেনা তা তাদেরকে শেখান। মা-বাবাই শিশুদের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক শিশুদের এই বিষয়গুলো শেখানোর মধ্যে লজ্জার কিছু নেই বরং এ বিষয়গুলোর শেখার মধ্যে আপনার শিশুর মঙ্গল নিহিত আছে ।









Discussion about this post