সারাদেশে স্বাস্থ্যখাতে চরম অনিয়ম ও দূর্ণীতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা, তদন্ত ও তোলপাড়ের ঘটনায় হাজার হাজার প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও কোন অবস্থাতেই থামানো যাচ্ছ না অপরাধমূলক কর্মকান্ড
এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যা নির্মাণাধীন হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরোনো কমপ্লেক্স ভবন ভেঙে যে পরিত্যক্ত ইট পাওয়া গেছে সেগুলো ভবনে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের বালু। কোনো রকম তদারকি ছাড়াই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ করছে রুপালি কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬১ টাকা ব্যয়ে গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরুর ১৫ মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার শর্তে কার্যাদেশ পায়।
সরেজমিনে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, নির্মাণ শ্রমিকরা ভাঙা ভবনের পরিত্যক্ত ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদারের নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যানেজার হাফিজুল ইসলাম জানান, নতুন ইট না থাকায় এ ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া নিম্নমানের বালু দিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। সিলেকশন বালু দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও কেন শুধু স্থানীয় নিম্নমানের বালু দিয়ে কাজ করছেন এমন প্রশ্ন করলে ম্যানেজার বলেন, সিলেকশান বালু ফুরিয়ে যাওয়ায় আপাতত এ বালু দিয়ে কাজ করছি। আজ বিকেলের মধ্যে ইট এবং বালু চলে আসবে।
স্থানীয়রা জানান, পুরাতন ভবনের পরিত্যক্ত ইট ব্যবহার করা হয়েছে চলমান নির্মাণ কাজে। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের বালু। ব্যবহার অনুপযোগী ইটের কংকর ভেঙে ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে এমন অভিযোগও স্থানীয়দের।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা বলেন, পুরোনো ইট ব্যবহারের বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আমি সাইড ম্যানেজারকে তা সরিয়ে নিতে বলেছি। এ ব্যাপারে আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ব্যবহার অনুপযোগী ইট দিয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি । এ বিষয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে ।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সার্কেল-১, ঢাকা) মো. রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, নির্মাণ কাজে পুরোনো ইট ব্যবহার ও অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।









Discussion about this post