হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পর স্ত্রী কে হত্যার দায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক ছিলেন।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম আশরাফ হোসেন কামাল। সে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার তৈয়বপুর গ্রামের নুরুল গনির ছেলে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শিপ্রা মোদক বলেন, আশরাফ হোসেন তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের মেঘনা এলাকায় হোল সিমেন্ট কোম্পানির স্টাফ কোয়াটারে বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে সানজিদাকে ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃতদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর আত্মহত্যা বলে প্রচার করে আশরাফ হোসেন কামাল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সানজিদার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। তখন সানজিদার বাবা সাদেক মিয়াও বলেন সানজিদাকে তার স্বামী হত্যা করেনি। সে আত্মহত্যা করেছে। পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আসে সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করলেও সোনারগাঁও থানার এসআই ফিরোজ খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত মঙ্গলবার একমাত্র আসামীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষনা করেছেন।









Discussion about this post