ইসলামী সংগঠনের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জে পালিত হয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) এর পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল । প্রতি বছর ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হলেও বৈশ্বিক মহামারির কারণে সরকারের নির্দেশে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য বিধি নিষেধ। কিন্তু কে মানেন সরকারের এই নির্দেশনা।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর ছাড়াই ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মোহাম্মদ (স.) কে নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আপত্তির মন্তব্যের প্রতিবাদে গত কয়েকদিনের ন্যায় শুক্রবার ৩০ অক্টোবর বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল সমাবেশ নারায়ণগঞ্জ শহরের রাজপথ প্রকম্পিত হলেও কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পুরো শহরে বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিণ করেছে ।
স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এমন বিধাল মিছিল, সমাবেশের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে নগরজুড়ে ।
অনেকেই বলেছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনায় যে কেউ এমন মিছিলে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি না মানায় আয়োজকেরা কি করেছেন ?
জানা যায়, পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে জশনে জুলুস ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
৩০ অক্টোবর শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের পাশে আবেদীয়া জামে মসজিদের সামনে থেকে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসে শোভাযাত্রা বের হয়।
পরে সকাল সাড়ে ১০টায় ওই এলাকা থেকে বাহাদুর শাহ এর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে ২নং রেল গেইট, চাষাঢ়া গোল চত্ত্বর, খানপুর, কালীরবাজার, টানবাজার হয়ে পুণরায় সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়। এতে হাজার হাজার সুন্নি জনতা শহরের ও শহরের বাইরে থেকে এসে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেত হতে থাকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এভাবে একের পর এক খন্ড খন্ড মিছিলে বিশাল জনসমাবেশ পরিণত হয় নগর ভবন এলাকা। এরপর বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে তারা শহর প্রদক্ষিণ করেন।
শোভাযাত্রা শেষে নগর ভবনের বিপরীত পাশের রাস্তায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে জশনে জুলুসের আলোচনা সভা ও আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী আল আবেদী।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: সেলিম রেজা, ইসলামিক ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান পীরজাদা আল্লামা সৈয়দ জাহের শাহ মোজাদ্দেদী, সৈয়দ আলমগীর শাহ মুজাদ্দেদী, যুব হিজবুর রসূল (সা:) কমিটির সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ মাহমুদ শাহ মোজাদ্দেদী, জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির নির্বাহী উপদেষ্টা রহমতউল্লাহ সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাদাত হোসেন শ্যামল, যুব হিজবুর রসূল (সা:) কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম সহ প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন অল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ বাহাদুর শাহ। এতে অংশগ্রহণ করেন হাজার হাজার মুসুল্লীরা।








Discussion about this post