নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
আগুণ লাগলে কি করতে হবে ? তা শহরবাসীকে জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে পূর্ব ঘোষনানুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের সকল টিম ও হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং অসুস্থ্য সকল রোগী অগ্নি নির্বাপক মহড়ায় অংশ গ্রহণ করলেও শুধু জানেন না হাসপাতালের ঠিকাদার বিকেএমএইএ এর পরিচালক ও ব্যবসায়ী নেতা খানপুরের সন্তান জিএম ফারুক । 
শনিবার ২০ এপ্রিল দুপুর সাড়ে বারোটায় হম্বিতম্বি করে এসে বুঝতে পারেন আগুনের কোন ঘটনা না, এটি শুধু ফায়ার সার্ভিসের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে মহড়া চলছে । মহড়া শেষে হাসপাতালের সুপারের কক্ষে প্রবেশ করে প্রবেশ করে জিএম ফারুক বলতে থাকেন আমি শুনেছি আগুণ লেগেছে হাসপাতালে তাই ছুটে এসেছি । জিএম ফারুকের এমন মন্তব্য শুনে উপস্থিত অনেক কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীদের অনেকেই ফিস ফিস করে তীর্যক ভাষায় মন্তব্য করায় দ্রুত সুপারের কক্ষ ত্যাগ করেন জিএম ফারুক ।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্তানের পাশাপিাশি রাজধানীতে বহুতল ভবন ও হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় তোলপাড়ের পর নব নিযুক্ত ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সুপার আবু জাহের ফায়ার সার্ভিসের কাছে চিঠি দেন আগুন লাগলে কি কি করনীয় তা কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সকলকে সচেতন করতে একটি মহড়া করার জন্য । সেই লক্ষ্যে গত কয়েক দিন নানাভাবে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি টিম পর্যবেক্ষন শেষে আজ শনিবার সকাল ১১টা থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে মহড়া শুরু করে । 
গণমাধ্যমের সংবাদের ভিত্তিতে পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী এমন মহড়ায় শহরের হাজারো মানুষ আগুন লাগলে কি করতে হবে তা জানতে হাসপাতালে উপস্থিত থাকলেও হাসপাতালের প্রভাবশালী ঠিকাদার জিএম ফারুক এমন মহড়ার খবর না জানায় সবচাইতে বেশী সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে উপস্থিত সকলের কাছে । 
অনেকেই জিএম ফারুকের এমন মন্তব্যের পর সমালোচনা করে বলেছেন, হাসপাালের সকল খবর সকলের আগে জানলেও এই মহড়ার খবর না জানর কারণ কি ? জেলা প্রশাসক, থানা পুলিশসহ সকলেই জানলেও কেন জিএম ফারুক এ বিষয়টি জানেন না তা বোধগম্য নয় । আরো অনেক কঠোর ভাষায় মন্তব্য করলেও যা প্রকাশ করা গণমাধ্যমের নীতি বিরদ্ধে হওয়ায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না ।









Discussion about this post