৪১ জুয়ারীসহ নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার ৭১ ॥ এসপিকে সাধুবাদের ঝড়

স্টাফ রিপোর্টার :

দীর্ঘদিন যাবৎ শহরের অপরাধের সূতিকাঘার হিসেবে পরিচিত বাসষ্ট্যান্ড, কালীরবাজার ও আশেপাশের এলাকায় বিশেষ পেশার ব্যানারে পরিচালিত রমরমা জুয়ার আসর গুড়িয়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।

নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্যদের নাম ব্যবহার করে এমন রমরমা জুয়ার আসের গত কয়েক বছরে আইনশৃংখলা বাহিনীর কেউ এমন প্রকাশ্য ও পত্রিকার াফিসের জুয়া বন্ধ করতে না পারলওে শেষ পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ প্রভাবশালী এই চক্রের অপরাধী আস্তানায় হানা দিয়ে ৪১ জুয়ারীকে আটক করে ।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়, ডিবি পুলিশ শহরের এমন জুয়ার আস্তানায় হানা দিয়ে জুয়া পরিচালনাকারী প্রভাবশালী মূল হোতারা পালিয়ে যায় । এমন প্রবাবশালীদের জুয়ার আস্তানা থেকে ৪১ জুয়ারীকে গ্রেফতার ও প্রভাব বিস্তারকারী চক্র পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে পুলিশের এমন সাড়াসী অভিযানের পর নারায়ণগঞ্জের সকলের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । একই সাথে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে সাধুবােদ জানায় । অনেকেই পুলিশ সুপারকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দনের ঝড় উঠে ।

এমন জুয়ার ঘটনায় বিশেষ পেশার নামধারী পাঁচজনকে পুলিশ সুপার ডেকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শহরজুড়ে দুপুর থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ।

গ্রেফতারকৃত ৪১ জুয়ারী সহ ৭১ জনকে আদালতে পাঠানোর পর আদালত জুয়ারীদের শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিলেও অন্যান্যদের বিসয়ে আদালত ভিন্ন ভিন্ন আদেশ প্রদান করে।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক ই মেইল বার্তায় জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাতটি থানায় গত 11/০2/২০১৯ খ্রিঃ ২০.০০ ঘটিকা হইতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত 12/০2/২০১৯ খ্রিঃ ২০.০০ ঘটিকা হইতে 13/০2/২০১৯ খ্রিঃ ০৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল থানায় অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন জনাব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), (সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মহোদয়। উক্ত অভিযান পরিচালনায় কাজ করে মোট ১৪ টি টিম। প্রতি টিমে একজন করে সাব ইন্সপেক্টর সহ ৯ থেকে ১০ জন করে ফোর্স অংশগ্রহন করে। উক্ত অভিযানে মোট ২৯ টি গ্রেফতারি পরোয়ানা (জি আর) ও ১২ টি সিআর তামিল করা হয় এবং ০২ টি সাজা পরোয়ানা গ্রেফতার করা হয়। মোট ৪৩ টি পরোয়ানা(ওয়ারেন্ট) নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়াও অভিযানে ১৩৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ০১ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা, অভিযানে মোট ১৮ টি মাদক মামলা দায়ের করা হয় এবং এ সংক্রান্তে ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।