রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের (সেজান জুস) কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘এতজন শ্রমিক নির্মমভাবে মারা গেলেন, এফবিসিসিআইসহ দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো কোনো শোকবার্তা পর্যন্ত জানাল না। গণমাধ্যমে শোক জানিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কোনো বিবৃতিও চোখে পড়লে না। তাদের ন্যূনতম দায়বদ্ধতাও নাই।’
রূপগঞ্জ ট্রাজেডির পরে শ্রমিকদের বেতন বকেয়ার বিষয়টি বুধবার (১৪ জুলাই) আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ সময় হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
হাইকোর্ট এ সময় আরও বলেন, ‘তারা (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মালিক) আছেন শুধু সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় আর ব্যাংকের ঋণ লোন কীভাবে মওকুফ পাওয়া যায় সেই চেষ্টায়।’
এ সময় আদালতে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও অনিক আর হক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। আদালতের এসব মন্তব্যের বিষয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
তিনি বলেন, ‘রিটকারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা ও বোনাস কিছুই পায়নি। আমরা বিষয়টি আজ আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। তখন আদালত বলেছেন সরকার থেকে নির্দেশনা রয়েছে শুক্রবারের (১৬ জুলাই) মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেবে। ওইদিন পাওনার বিষয়ে ব্যবস্থা না হলে আমরা দেখব।’
ব্যারিস্টার সারা হোসেন আরও বলেন, ‘এর মধ্যে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসায় সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে কি-না খোঁজ নিয়ে জানানোর জন্য বলেছেন আদালত। এসব বিষয় খোঁজ নিয়ে রিটকারী চার সংগঠনের পক্ষ থেকে জানাতে হবে। তবে কোনো সময় বেধে দেয়া হয়নি।’









Discussion about this post