সংক্ষিপ্ত আয়োজনে নাচ, গাণ, উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হচ্ছে।
সারা দেশের সাথে নারায়ণগঞ্জেও উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ঢোল বাজিয়ে পানিতে ভাসানো হয় প্রতিমা। বিসর্জনের সময় আনন্দের পাশাপাশি ভক্তদের মধ্যে বিষাদেরও ছাপ ছিল।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পুজা মন্ডপ ঘুরে ও ৩নং ঘাটে শীতলক্ষা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এ চিত্র দেখা যায়। এদিকে ধলেশ্বরী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে, এখন পর্যন্ত ৩নং ঘাটে মানুষের উপস্থিতি অন্যান্য বছরের চেয়ে কম রয়েছে।
বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে আমাদের প্রতিনিধি জানান, কৈলাশ ছেড়ে মর্ত্যলোকে এসেছিলেন দেবী দূর্গা। ভক্তের দুঃখকে দূর করে শান্তি বিলিয়ে দিয়ে গজে করে চলে যাবেন মা দূর্গা।
তাই আজ মণ্ডপে মণ্ডপে বাজছে বিদায়ের ঘন্টা। বিজয় দশমীর পুজার মধ্যে দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা।
করোনা মহামারির কারণে এবার উৎসবকে বাদ দেয়া হয়েছে, বাদ দেয়া হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা।
এদিকে, নগরীর ৩নং সার ঘাট থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, প্রতি বছর সন্ধ্যার পর থেকে বিসর্জন শুরু হলেও এবার করোনার কারণে বিসর্জন সন্ধ্যার আগেই শেষ হবে। আজ সকাল থেকেই সিটি কর্পেরেশন উদ্যোগে ঘাটের আশে পাশে দেয়া হয়েছে জীবানুনাশক স্প্রে।
বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য নগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ঘাট এলাকায় জুরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট, নৌ পুলিশের একটি ইউনিট, জেনারেল হাসপাতাল(ভিক্টোরিয়া) এম্বুল্যান্স অবস্থান করছে।








Discussion about this post