নাসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পূর্ব থেকেই নগরীর ২২নং ওয়ার্ড ছিলো সন্ত্রাসের জনপদ ।
বন্দর থানা এলাকার নাসিক এলাকার কোটপাড়া, হাফেজীবাগ, ঠাকুরবাড়ি, নুরবাগ, রাজবাড়ি, বাবুপাড়া, আমিন আবাসিক এলাকা, লেজারার্স এলাকায় ছাড়াও পুরো বন্দর ও শীতলক্ষা নদীর এপাড় – ওপাড়ে রয়েছে খান মাসুদের অসংখ্য কিশোর গ্যাং গ্রুপ । দিন রাত সমানতালে বন্দরের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে খান মাসুদ চাঁদাবাজি. মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতাসহ সকল ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলো। একই সাথে বন্দর ঘাট, বাজার ও অটো রিক্সার নিয়ন্ত্রণ করে আতংকের নগরীতে পরিণত করা হয়েছে । এক খান মাসুদের আতংকে টটস্থ পুরো বন্দরবাসী ।
প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বন্দর খেয়াঘাট দিয়ে চলাচল করার কারণে এক ধরণের জিম্মিদশা সৃস্টি করে খান মাসুদ পুরো এলাকায় রাম রাজত্ব তৈরী করে আসছিলো । খান মাসুদের রয়েছে টর্চার সেল এ,মন গুঞ্জর প্রচার থাকায় কেউ টু শব্দটি করার সাহস করতো না । বারবার বিজয়ী খোদ কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া কখনোই এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী খান মাসুদের ভয়ে মুখ খোলারও সাহস করতো না ।
নাসিক নির্বাচনে প্রচারণাকালীন গত কয়েকদিন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন নারী ভোটারদের সাথে আলোচনা করলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঝড় তুফান থেকে পাখি যেমন বাচাাদের পাখার নীচে লুকিয়ে রাখে ঠিক তেমনি এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী খান মাসুদ ও তার নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসীর ভয়ে এই এরাকার কেউ তাদের বাচ্চাদের খেলার মাঠে পাঠাতেও চান না। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় খান মাসুদের কিশোর গ্যাং কতটা ভয়ংকর ও মাদক ব্যবসা কতটা প্রকাশেই চালু আছে তা না দেখলে প্রমাণ করাও কঠিন। তাই আতংকে কাটে এই এলাকার মানুষের জীবন।
রোববার (১৬ জানুয়ারী) নাসিক নির্বাচন চলাকালীন সময়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাপক তান্ডব চালানোর অভিযোগও রয়েছে এই খান মাসুদ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক তান্ডেবের অভিযোগ তুলেন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সুলতান আহমেদ ভূইয়া । সূলতান ছাড়াও আরো কয়েকজনের গুরুতর অভিযোগের ভিডিও ধারণকৃত রয়েছে । আর এমন অপরাধের সংবাদ প্রকাশিত হলেই খান মাসুদের নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন বিশেষ পেশার নামধারী ধূর্ত কয়েকজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী মাসুদকে সাধু বানাতে নানাভাবে তৎপর হয়ে উঠে । ঘটনাকে মিথ্যে প্রমাণ করেতে মাসুদের পক্ষে জানানো হয় প্রতিবাদ ও নিন্দা ।
সুলতান আহমেদ ভূইয়া নিজেও খান মাসুদের তান্ডব চালানোর অভিযোগ তুলেছেন । ২২ নং ওয়ার্ডে ফের নির্বাচিত হলে রোবাবার রাতেই তান্ডব চালায় পরাজিত সন্ত্রাসী খান মাসুদ। এমন তান্ডবে কয়েকজনকে আহত করে বলেও চাউর রয়েছে বন্দর এলাকায় ।
নারাযণগঞ্জের একটি রাজনৈতিক পরিবারের ঘনিষ্ট ও আস্থাভাজন বলে সর্বত্র প্রচার থাকার কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করতো না ।
এমন প্রভাবশালী পরিবারের নাম ব্যবহার করে দফায় দফায় হামলার শিকার হয়েও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সুলতান আহমেদ ভূইয়া।
এমন ফলাফলের ঘটনায় বন্দর বাজার ও ঘাট এলাকা অবরুদ্ধ করে তান্ডব চালালে প্রথমে পুলিশ ও পরে বিজিবির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো পুরো বন্দর এখায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে আতংকিত অনেকেই মন্তব্য করেছেন ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন, খান মাসুদের বিষয়ে কথা বলতেও ভয় করে । কারণ সে যে কতটা ভয়ংকর তা সকলেই জানেন । বন্দরে একজন সাংবাদিক খুন হয়েছে । তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কি এখনো প্রকাশ পেয়েছে ? তাতেই সহজে অনুমেয় কতটা ভয়ংকর জনপথের নাম বন্দর ও খান মাসুদ ।
ভয়ংকর সন্ত্রাসী খান মাসুদের পরাজয়ের এর তান্ডবের বিষয়টি স্বীকার করে বন্দর তানার ভারপ্রাপ্ক কর্মকর্তা (ওসি ) দীপক চন্দ্র সাহা নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ঘটনা ঘটছে , পরে গিয়ে বিজিবি পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তেবে খান মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে যে গুঞ্জন হয়েছে তা মিথ্যে ।









Discussion about this post