না ফেরার দেশে চলে গেলেন নারায়ণগঞ্জের প্রখ্যাত রঙ -সূতা ও তুলা ব্যবসায়ী হরধন চক্রবর্তী ওরফে হারাধন চক্রবর্তী । শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) সকাল ৬ টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি । শুক্রবার হারাধন চক্রবর্তী মৃত্যূ বরণ করলেও রোববার (৩০ জনুয়ারী) রাত সাড়ে ৮ টায় শেষ কৃত্যানুষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ মাসদাইর শ্মশানে সম্পন্ন করেন পরিবারের কয়েকজন সদস্য ।
মৃত্যুকাল বিশাল রহস্যময় এই ব্যবসায়ী দুই পুত্র অমিত চক্রবর্তী ও সমিত চক্রবর্তী, দুই কন্যা নিতু চক্রবর্তী এবং মুনমুন চক্রবর্তী, স্ত্রী শিল্পী চক্রবর্তী, মেয়ের জামাতা সরকারী শীর্ষ কর্মকর্তা দীপক চক্রবর্তী, বড় ও ছোট মেয়ের জামাতা কমল গোস্বামীসহ অসংখ্য পরিবারের সদস্যদের রেখে গেলেও শেষ কৃত্যানুষ্ঠান ছোট পুত্র সমিত চক্রবর্তী এবং মেঝো মেয়ের জামাতা সরকারী শীর্ষ কর্মকর্তা দীপক চক্রবর্তী শ্বশানে উপস্থিত থেকে সনাতন ধর্ম মতে সকল কার্যাদী সম্পন্ন করেন এবং নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করেন সকলের কাছে ।
এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, হারাধন চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মাঝে । তিনি (হারাধন চক্রবর্তী) ছিলেন রহস্যময় ব্যবসায়ী । তার জীবন ছিলো রহস্যেঘেরা । তিনি (হারাধন চক্রবর্তী) নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজারের হরিপদ সাহার মালিকানাধীন শিল্পী কালার প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে দিনাতিপাত করলেও পরবর্তীতে ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন । কিন্তু তার কোন অর্থ সম্পত্তি নিজ নামে নেই । বড় ছেলে অমিত চক্রবর্তী কলকাতায় বিশাল সম্পত্তি গড়ে তুলে সেখানেই নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। মেয়ের জামাতা কমল গোস্বামী একই পন্থায় ভারতীয় নাগরিক। ফলে পিতার মৃত্যুতে ছোট ছেলে সমিত চক্রবর্তী আমেরিকা থেকে পিতার শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে লাশ দুই দিন রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মর্গে রাখা হলেও বড় পুত্র অমিত চক্রবর্তী, মেয়ে মুনমুন চক্রবর্তী ও তাাদের পরিবারের সদস্যরা ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় আইনী জটিলতার কারণে বাংলাদেশে পিতার শেষ বিদায় বেলায় উপস্থিত হতে পারেন নাই ।
ফলে হারাধন চক্রবর্তীর মেয়ের জামাতা সরকারী শীর্ষ কর্মকর্তা দীপক চক্রবর্তী মাসদাইর শ্বশানে উপস্থিত থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভারতে অবস্থানরত অমিত চক্রবর্তী, মেয়ে মুনমুন চক্রবর্তীকে শেষ কৃত্যানুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করেন ।
নারায়ণগঞ্জের বিশাল এই ব্যবসায়ী হারাধন চক্রবর্তী নগরীর নয়ামাটিতে এসবি এ্যাপারেলস এর মলিক ছিলেন । চাঞ্চল্যকর সাজাপ্রাপ্ত রহস্যময় মারোয়ারী ব্যবসায়ী ওম প্রকাশ আগারওয়ালের পার্টনার থাকোকালে অনেকেই হারাধন চক্রবর্তীর কাছ থেকে সুবিধা আদায় করলে বিদায় বেলায় কাউকেই দেয়া যায় নাই শ্বশানে । এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ ।
এ সময় হারাধন চক্রবর্তীর আত্মার শান্তি কামনা করে শ্বশানে বিশেষ প্রার্থনা করেন পরিবারের সদস্য অমিত চক্রবর্তী ও জামাতা সরকারী শীর্ষ কর্মকর্তা দীপক চক্রবর্তী ।









Discussion about this post