নাারয়ণগঞ্জের শক্তিশালী অপরাধীচক্রের সকল চক্রান্তকে ধূলিস্যাৎ করে, সকল প্রপাগান্ডাকে পায়ের নীচে পিষ্ট করে নগরবাসীর ভোটে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী দায়িত্ব গ্রহণ করবেন আর মাত্র কিছুক্ষনের মধ্যেই ।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরাসরি নগরভবনে গিয়ে পুরোনো চেয়ারে নতুন করে বসবেন দেড় যুগ যাবৎ নগরকর্তার দায়িত্বে থাকা চুনকা কন্যা জনতার নেতা চিকিৎসক সেলিনা হায়াৎ আইভী ।
গেলো ১৬ জানুয়ারি রোববার নাসিকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে প্রায় ৬৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হ্যাট্রিক বিজয় পান ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এর আগে এক মেয়াদে পৌর চেয়ারম্যান ও দুই মেয়াদে সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। এইবার তৃতীয় মেয়াদে সিটি মেয়রের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন তিনি। আগামী ৫ বছর তিনি এই দায়িত্বে থাকবেন।
নাসিক মেয়র চিকিৎসক সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কোনো আনন্দ মিছিল হয়নি ৷ কালও কোনো মিছিল হবে না ৷ সরাসরি নগরভবনে যাবেন তিনি ৷
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শপথ নেন মেয়র আইভী৷ গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ৷
বিদেশে চিকিৎসা বিদ্যায় পড়াশোনা করা সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সবশেষ চেয়ারম্যান ছিলেন, (এরপর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে উন্নীত করা হয় সিটি করপোরশেনের) । তিনি আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আলী আহমেদ চুনকার মেয়ে। লেখাপড়া শেষে ২৫ বছর আগে দেশে ফিরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নামেন। বিএনপি শাসনামলে ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে জিতেন তিনি। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোটে তিনি মেয়র পদে জয়ী হন। ২০১৬ সালের ভোটেও বিজয়ী হন আইভী।
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা সংসদ সদস্য শামীম ওসমান । যিনি এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা খান সাহেব ওসমান আলীর নাতি এবং একে এম শামসুজ্জোহার কনিষ্ট পুত্র ।









Discussion about this post