ফের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আজ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর পৌনে ১২টায় নির্মাণাধীন নগর ভবনের ৮ম তলায় অস্থায়ী কার্যালয়ে বসেন তিনি। নগর ভবনে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মেয়রের চেয়ারে বসে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আমি বিগত দিনে সাধারণ মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে মানুষ যা চায়, এই শহরকে সেভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছি। বিগত পরিষদে ৩৬ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেছি। আগামী পাঁচ বছর একইভাবে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী এই পরিষদে কাজ করব। নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ অত্যন্ত আশা–আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমাদের ভোট দিয়েছে। এবারও দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে এই সিটি করপোরেশনে আমি কাজ করব। এখানে কোনো ধরনের দলাদলি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি হতে পারবে না। আমি ১৮ বছর যেভাবে কাজ করেছি, সেভাবেই এখানে কাজ করব।’
সেলিনা হায়াৎ আইভী গত বুধবার সকালে শপথ গ্রহণ করেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে শপথবাক্য পাঠ করান।
সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অতীতের মতো তাঁর অবস্থান আছে উল্লেখ করে আইভী বলেন, ‘কোনো ধরনের আপস মনোভাব নিয়ে এখানে আসি নাই। আমি আপস করব আমার জনগণের সঙ্গে কাজের জন্য। কোনো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের সঙ্গে নয়।’
২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদম রসুল পৌরসভা বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটিকর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করেন তিনি। সব শেষ ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরাজিত হন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপির নেতা তৈমুর আলম খন্দকার।









Discussion about this post