কুমিল্লার প্রায় ১৫ টি অত্যান্ত প্রভাবশালী পাচারকারী সিন্ডিকেট কয়েক যুগ যাবৎ ভারতীয় নিষিদ্ধ শাড়ি, থ্রি পিছসহ নানা পন্য দেশে নিয়ে আসে। এই পন্য নারায়ণগঞ্জের অনেক বিপনী বিতানে দেখা গেলেও তাদের ধরা যায় না নানা কৌশলের কারণে।
প্রায় ৫/৭ বছর পূর্বে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ অসংখ্যবার লাখ লাখ বিদেশী শাড়ি থ্রি পিছসহ নানা পন্য সামগ্রী আটক করে । একই সাথে তৎসময়ে সিআইডি, সোনারগাঁ থানা পুলিশ, বন্দর থানা পুলিশ, প্রতিটি ফাঁড়ি পুলিশ, ফতুল্লা থানা পুলিশ কোন কোন সময় লিংক রোড় থেকে কনটেইনার বোঝাই এমন নিষিদ্ধ পন্য সামগ্রী আটক করে ।
এমন লাখ লাখ পিছ বিদেশী শাড়ী ও থ্রিপিছ আটকের পর নারায়ণগঞ্জের ডিবি পুলিশের অলিখিত ক্যাশিয়ার, দন্ডমূর্তের কর্তা, অপরাধীদের শেল্টারদাতা নূরুল ইসলাম ওরফে চাঁদাবাজ ক্যাশিয়ার নূরুকে ম্যানেজ করে ওই চিহ্নিত সিন্ডিকেট বিনা বাধায় কয়েক বছর যাবৎ এমন চোরাই কারবারী চালিয়ে যাচ্ছে।
এই নূরুর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগের পাহাড়, নূরুর নিজের মুঠোফোনের চাঁদাবাজির রেকর্ড, নুরুর ভাউচারের মাধ্যমে চাঁদাবাজি প্রমাণ প্রকাশের পর নানা দোহাই দিয়ে বীরের বেশে এখনো সকল অপরাধীদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে অপরাধীরা তাদের অপরাধ চালিয়েই যাচ্ছে । ক্যাশিয়ার নূরুকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে সকল অপরাধীদের মতোই কুমিল্লার এই চোরাই কারবারী সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকান্ড । ফলে সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ এমন অপরাধীদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারে নাই
র্যাবের এমন অভিযানে এই অপরাধীদের গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশের এক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে দেশে নূরুরা থাকবে আর পুলিশের নামে চাঁন্দা তুলবো সেখানে পুলিশের সাফল্য আসবে কি করে ! কথায় কথায় এই নূরু আমাদের স্যারদের নাম বেছে । আমরা কি করবো ? নূরু নাকি ভাউচার দিয়ে পুলিশর মান্থলি হিসেবে চাঁদা তুলে । আমাদের স্যারেরা কি এগুলি দেখে না । নূরুর বিরুদ্ধে কোন কথা কইলেই আমাদের বিপদ । তাই কিছু কই না, অপরাধীও ধরি না বলে মন্তব্য করে তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন ।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার চোরাচালান জব্দ করেছে র্যাব-১১ এর একটি দল।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিনি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়। গ্রেফতার করা হয় দুইজনকে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ থানা এলাকায় একটি মিনি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ৯৯৮টি ভারতীয় শাড়ি ও ৩২২টি ভারতীয় লেহেঙ্গা পাওয়া যায়। এসব পণ্যের শুল্ক পরিশোধের কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা চোরাচালানের সাথে জড়িত মো. রাজু (৩২) এবং মো. আবুল কাশেমকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়। আসামি রাজু কুমিল্লা সদরের কাপ্তান বাজার এলাকার মৃত মো. শফিকের ছেলে এবং অপর আসামি আবুল কাশেম একই জেলার আমড়াতলী এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব আরও জানায়, আসামিরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত হতে অবৈধভাবে চোরাই পথে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিছ ও লেহেঙ্গা নিয়ে এসে মিনি কাভার্ডভ্যানের চালক ও সহোযোগীর ছদ্মবেশ ধারণ করে পরিবহন করে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।









Discussion about this post