মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সদর উপজেলা প্রশাসন চর সৈয়দপুর এলাকায় অবৈধ দখলকারিদের উচ্ছেদে অভিযান চালায়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া খানম, স্থানীয় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজর আলীসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা।
দুপুর দুইটা পর্যন্ত অভিযানে সরকারি জমি দখল করে গড়ে ওঠা একটি ট্রাকের গ্যারেজ ও রঙের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি অবৈধ দোকান চিহ্নিত করা হয়।
সরকারি খাস জমি ফিরে পেতে অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে জায়গা খালি করে জেলা প্রশাসনকে জমিটি বুঝিয়ে দিতে দখলদার ব্যক্তিকে। এরজন্য দুইদিনের সময় বেঁধে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া খানম।
পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আজিজ মাস্টার নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি খাস জমিটি দীর্ঘ বিশ বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। সেখানে গ্যারেজ ও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করে আসছিলেন তিনি।
এই আজিজ মাস্টার স্তানী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বলে জানায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগরবাসী ।
বিষয়টি সদর উপজেলা ভূমি অফিসের নজরে আসার পর সিএস ও আরএস দলিল তল্লাশি করে যাচাই বাছাই করে জমিটি সরকারি খাস জমি বলে প্রমাণ হয়। পরে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে জমিটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, সরকারি খাস জমি বুঝে নেওয়ার পর সেখানে গৃহহীনদের জন্য সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
উচ্ছেদ অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজর আলীসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে এলাকার অনেকেই বলেন, গত বছর ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার ক্ষোভ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী চেয়ারম্যান ফজর আলী নানা কৌশলে পরিক্ষিত আওয়ামীলীগ নেতা আজিজ মাস্টারসহ অনেকের দখলে থাকা এই জমি থেকে সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় । এমন উচ্ছেদের ঘটনার নেপথ্যে চেয়ারম্যান ফজর আলীর হিংসাত্মক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে বলে জানান কেউ কেউ। অনেকেই আরো জানান, কয়েক যুগ যাবৎ এই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলো । এর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন তার ভাই । তখন কি এই জমির খবর জানতেন না ? “সঙ্গে থাকলে সঙ্গি, না থাকলে আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত নেতাও হয় জঙ্গি“ এমন টাই প্রমাণ হয়েছে পরিক্ষিত আওয়ামীলীগ নেতা আজিজ মাস্টারের ক্ষেত্রে ।









Discussion about this post