দলিত জনগোষ্ঠীকে তাদের গন্ডি থেকে বের হতে হবে। তাদের জন্য অনেক সুযোগের ব্যবস্থা করা হলেও জীবন যাত্রার মান পরিবর্তনে তারা নিজেরাই অনাগ্রহী। আগামীতে প্রত্যেকটি পরিবাররের সন্তানদের বাধ্যতামূলক স্কুলে ভর্তি হতে হবে। নতুবা তাদের কলোনী থেকে বের করে দেওয়া হবে। অনেককে বলেছিলাম ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত পড়ালেখা চলাবো তোমরা চালিয়ে যাও। পরে গিয়ে দেখি বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। আপনারা বছরের পর বছর পিছিয়ে থাকবেন এটা হয় না। আমরা আপনাদের বাসা বাড়ি দিচ্ছি, কলোনি দিচ্ছি তারপরেও আপনারা কথা শুনবেন না এটা হবে না।
এভাবেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শহরের চুনকা পাঠাগার ও মিলনায়তনে দলিত নারী সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন ।
তিনি বলেন, যতবার আমি কলোনীতে গিয়েছি সেখানেই তাদের খাবার দাবার খাই। আমার মনে হয় না বাংলাদেশে কেউ এমন ওদের ঘরে বসে খাবার খায়।
আইভী বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী দলিত সম্প্রদায়ের জন্য বহুতল ভবনের টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি আমাদের একশ কোটি টাকা দিয়েছেন। আমরা ৭টা বিল্ডিং করবো। এর বাইরেও সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা দিতে চাইছে। আমরা চাই ওদের লাইফ স্টাইল চেঞ্জ করতে। আমরা নরীদের চেঞ্জ করতে চেয়েছিলাম। তবে তারা কেন জানি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। মনটাকে আগে ঠিক করতে হবে। মাথায় ঢুকাতে হবে যে আমি উঠে দাঁড়াব, সরকারি চাকরি করবো।
তিনি আরও বলেন, স্কুল কলেজে বৈষম্যের খবর পেলেই আমরা লোকজন পাঠাই। আর নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে তো তাদেরই প্রাধান্য বেশি। নারায়ণগঞ্জের বাইরের অবস্থা আমি জানি না। আমাদের অপরাজিতা স্কুল হবে। সেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনে কোটা রাখবো।
তিনি আরো বলেন, আমি ওদের ওখানে বসে চাও খাই। বানানো জিনিসও ওদের ঘরে বসে খাই। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের মধ্যে কেউ গিয়ে ওদের সাথে এইভাবে আন্তরিকভাবে মিশে ওদের ঘরে বসে ওদের বানোনো চা খাবে। আমি শুধু জাত বৈষম্য দূর করার জন্য এইটা করি। কারণ আমি জাত-পাত এত হিসাব করি না। নিচু জাতের খাবার খাবো না এই রকম মানসিকতাই আমার নাই। ওদের গলিগুলো হয়তো পরিষ্কার না কিন্তু প্রত্যেকের ঘর একদম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সাজানো-গোছানো।’









Discussion about this post