নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা দত্তপাড়া এলাকায় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার আলমগীর হোসেন (৩০) নামে একজনকে ১ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য পুলিশ আসামীর বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করে।
রিমান্ডকৃত আলমগীর হোসেন চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বাশকানিয়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের এএসআই ঈসমাইল হোসেন।
উল্লেখ্য, ১৭ জানুয়ারি সোমবার গোপন সূত্রে খবর ছিল টেকনাফ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবার একটি চালান আসছে, খবর পেয়ে সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোলপ্লাজায় তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। এ সময় আসামির গাড়িকে সিগন্যাল দিলে এক কনস্টেবলকে আহত করে দ্রুত সেটি পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের আরেকটি টিম মোগড়াপাড়া এলাকায় ধাওয়া করে আসামি আলমগীর হোসেনকে গাড়িসহ এবং ৪২ হাজার ইয়াবা বড়িসহ গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারের পর আসামিকে নিয়ে তারা সরাসরি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চলে আসামিই গাড়ি চালায় যায়। এ সময় এসপি অফিসে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর আসামিকে নিয়ে থানায় রওয়ানা দেন দুই এসআই ও এএসআই। তবে, তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারেন না ফলে আসামিকে দিয়েই গাড়ি চালানো হয়। পরে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে পৌঁছালে গাড়ি থেকে কৌশলে লাফিয়ে পড়ে গাড়ি খাদে ফেলে দিয়ে আলমগীর পালিয়ে গেলে দুই দারোগার লাশ উদ্ধার করে গাড়ীর ভিতর থেকে । গাড়ীতে থাকা অপর এএসআই রফিক গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাটানোর পর কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়ার পাশাপাশি ফের গ্রেফতার হয় দূর্ধর্ষ মাদক কারবারী আলমগীর ।
এরপর দুই দফা মাদক কারবারী আলমগীরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও নানা নাটকীয়তায় মূল ঘটনা উদঘাটন করতে না পারায় ফের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে সোনারগাঁ থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আলমগীরকে নিয়ে নানা নাটক মঞ্চস্থ্য হচ্ছে । মূল ঘটনা আড়াল করা হচ্ছে । মৃত দুই দারোগাকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে নানা পরিকল্পনা হচ্ছে ।









Discussion about this post