শীতলক্ষ্যা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনার দুইদিন পর রাহিমা (১৭) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলার নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ।
তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে আমাদের খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন মরদেহটি তুলে তীরে নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার মরদেহটি নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রাহিমার বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
রাহিমার মামা মোজাম্মেল প্রধান জানান, গত শনিবার বিকেলে রাহিমার বড়ভাই রায়হান তার স্ত্রীকে নিয়ে চাষাঢ়ায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে রাহিমাও ছিল। পথে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় তাদের নৌকা ডুবে যায়। এসময় রাহিমার ভাই ও ভাবি সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠতে পারলেও সে তলিয়ে যায়।
এদিকে, এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নৌকার মাঝি খোকন বাদী হয়ে একটি মামলায় দায়ের করেছেন। মামলায় তাৎক্ষণিকভাবে আটক বাল্কহেডের চার কর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- বাল্কহেডের মিস্ত্রী রুহুল আমিন, স্টাফ মিরাজ, ফকির হোসেন ও বাবুর্চি আজমীর হোসেন।
গত ৫ মার্চ বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর খেয়াঘাট থেকে যাত্রবাহী একটি নৌকা সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের দিকে যাওয়ার সময়ে এমভি আলী নামে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। এসময় ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার করতে গিয়ে আরও একটি নৌকা ডুবে যায়।
তবে সে সময় দুইজন নিখোঁজের কথা বলা হলেও কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। পরে কয়েক দফা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর আজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। বাকিজনের কোনো খোঁজ এখনো মেলেনি।









Discussion about this post