নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারে কর্মরত এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে এক নারী( ২৩)।
অভিযুক্ত কারারক্ষী জামালপুর জেলার সদর থানার ঝাউলা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর পুত্র কাজিম উদ্দিন (৪৮)। সে নারায়নগঞ্জ জেলার কারারক্ষী বলে জানা যায়।
কারারক্ষী কাজিম উদ্দিন কর্তৃক এমন ধর্ষনের ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ কারাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট (সুপার) মাহবুবুর রহমান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, কাজিম উদ্দিন ডিউটিতেই আছেন । তবে তার বিষয়ে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই । এ বিষয়ে আমি খোজ খবর নিচ্ছি।
এমন ধর্ষনের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট করে বলেন, আসামী যেই ই হোক তাকে কোন ছাড় নাই । বিষয়টি নিয়ে আমি অবশ্যই খোজ নিচ্ছি ।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, অভিযুক্ত কারারক্ষী মামলার বাদীর স্বামীর আত্নীয়। বিগত ০৭ বছর পূর্বে বাদীর বিয়ে হয়। তারা বর্তমানে ফতুল্লা থানা এলাকায় বসবাস করে। এবং তার স্বামী গার্মেন্টসে চাকুরী করে। সকাল আটটায় বাদীর স্বামী কর্মস্থলে যায় এবং রাত নয়টায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে আসে। অভিযুক্ত কারারক্ষী বাদীর আপন কাকা শ্বশুরের ছেলে। সম্পর্কে ভাসুর।সে পূর্বে টাঙ্গাইল জেলখানায় কারারক্ষী হিসাবে কর্মরত ছিল।
২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর সে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে বদলী হয়ে নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারে যোগদান করে। এর একদিন পর সকাল নয়টার দিকে সে বাদীর বাসায় আসে। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত অভিযুক্ত কারারক্ষী বাদীর বাসায় তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে যাতায়াত করিতো।
চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ৫ তারিখ সকাল নয়টার দিকে অভিযুক্ত কারারক্ষী বাদীর বাসায় বসে। সে সময় বাদী নিজ ঘরে শুয়ে ছিলো। এ সময় কৌশলে কারারক্ষী বাদীর সাথে বেশ কিছু ছবি তুলে। এক পর্যায়ে অঙ্গিভঙ্গি করিয়া কথাবার্তা বলিতো এবং মোবাইলেও কু-প্রস্তাবের ইঙ্গিত বহন করিতো। পরবর্তীতে অশ্লীল ছবির হুমকি দিয়ে জানুয়ারী মাসের ১২ তারিখ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাসায় এসে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোর পূর্বক দৈহিক সম্পর্ক গড়িয়া তোলে। এই ভাবে সে প্রায়ই সময় বাদীর বাসায় আসতো এবং বাদীর সাথে বিভিন্ন সময় শারীরিক মেলা মেশা করতো।
সর্বশেষ ফেব্রুয়ারী মাসের ২২ তারিখ বেলা ১১ টার দিকে অভিযুক্ত কারারক্ষী কাজিম উদ্দিন বাদীর বাসায় গিয়ে জোড়পূর্বক বাদীকে ধর্ষন করে। এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,অভিযোগ পেয়ে মামলা গ্রহন করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।









Discussion about this post