একেবারেই প্রকাশ্যেই চাঁদাবজি চালিয়ে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) শাহ আলম । এরা এতাটাই বেপরোয়াে এমন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই প্রকাশেই হংকার দিয়ে বলেন, “প্রতিমাসে উর্ধতন কর্মকর্তাদের টেবিলে টেবিলে লাখ লাখ টাকা পাঠাতে হয় । নাইলে এই পোস্টিং বাতিল করে দিবেন । তাই চাঁদাবাজি করতে হয় বাধ্যতামূলক । আবার এই চাাঁদবাজির জন্য রেকার বিল নাম ভূয়া রিসিট নিজেরাই ছাপিয়ে তা সরকারী বলে প্রচার চালানোর চেষ্টা করেন চাঁদা আদায়কারী এই চক্র ।
চাঁদা দিতে না চাইলে মশিউর নিজেকে ‘ঢাকা ভার্সিটিতে মাস্টার্স পাশ করা ছাত্র বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গাজিপুরের টঙ্গির হেড অফিসে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা প্রদান করে বলে জানান । এমন দৃশ্য দেয়া যায় প্রতিনিয়তঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে পুলিশের চাঁদাবাজি এবং হয়রানির অভিযোগ তুলে ইজিবাইক ও অটোরিক্সা চালক-মালিকরা বিক্ষোভ করেছে।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড মোড় থেকে চাষাড়া চলাচলকারী ইজিবাইক ও অটোরিক্সা চালক-মালিকরা এ বিক্ষোভ করেন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) শাহ আলমের প্রত্যাহার, পুলিশের আটক বাণিজ্য চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধের দাবি করে তারা। শতাধিক অটো চালক-মালিকদের বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড় প্রদক্ষিণ করে চৌরঙ্গী পেট্রোল পাম্পের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া অটো-চালকরা জানায়, প্রতিদিনের সড়কে খরচ (চাঁদা) ও কিস্তির টাকা পরিশোধ করে যে সামান্য আয় থাকে তা দিয়েই তারা কোনোমতে সংসার চালান। কিন্তু সাইনবোর্ড মোড়ের জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই শাহ আলমকে মাসিক চাঁদা দিয়েও মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। আমরা এ অটো-রিকশা চালিয়ে আমাদের মা-বাবা ও ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে দু-বেলা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে চাই। পুলিশের হয়রানি এবং মামলা থেকে মুক্তি চান তারা।
জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই শাহ আলম বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। রাস্তায় ইজিবাইক আটকানো এটা আমার কাজ না। এগুলো যারা রেকার লাগায় তারা ভালো বলতে পারবে। ইজিবাইক-অটো নিয়ে ভাববার সময় আমাদের নেই।
এ বিষয়ে কথা হলে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই মশিউর রহমান বলেন, মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও সিএনজি চলাচল বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও সিএনজি পেলে আটক করে প্রতিদিনই নিয়মিত ভাবে মামলা দেওয়া হচ্ছে ।









Discussion about this post