বন্দরে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে এক ইউপি সদস্যকে কারখানা থেকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানষিক নির্যাতনের পর হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে মাকসুদ চেয়ারম্যানের পূত্র মাহমুদুর হাসান শুভ বাহিনী।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কামতাল এলাকায় অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
অমানষিক নির্যাতনের শিকার আহত ইউপি সদস্যের নাম শফুরউদ্দিন(৫৫)। তিনি ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য। নির্যাতন কালে আত্ম চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে নুরুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি শফুরউদ্দিনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে শফুরউদ্দিনকে ঝুট জমিজমা ও ঠিকাদারী ব্যবসা পরিচালনা দায়িত্ব দেন টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের মালিক পক্ষ। ঝুট ব্যবসা একক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন মাকসুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভর দ্বদ্ব চলছিল। এর জের ধরে গতকাল সোমবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পূর্বে থেকে কারখানার ভেতর ওৎ পেতে থাকে চেয়ারম্যান পূত্র শুভ, পুলিশের গলায় ছুরিচালানো মামালার আসামি কলোনীর আমিনুল, হত্যা মামলার আসামি হানিফা, অস্ত্র মামলার আসামি জরিফসহ ১০-১২ জনের একটি দল। এসময় শফুরউদ্দিন বেলা সাড়ে ১১ দিকে ফ্যাক্টরীর ভেতরে প্রবেশ করলেই তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে কারখানার ভেতর থেকে প্রাইভেটকার তুলে পাশ^বর্তী পরিত্যক্ত সোনালী পাল্প নিউজ পেপার মিলসে নিয়ে যায়। সেখানে লোহার রড, হকিষ্টিক ও পিস্তলের বাট দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যার উদ্দেশে আহত করে। এসময় আহত শফুরউদ্দিনের আত্ম চিৎকারে নুরুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আহত শফুরউদ্দিন মেম্বারের ছেলে জাহাঙ্গীর জানান, বন্দরের কামতাল এলাকায় অবস্থিত এস.এইচ.কে নামের এক গার্মেন্টের পোশাকের ষ্টিকার তৈরী লেভেল ফ্যাক্টরীর (ওয়েষ্টেজ) ঝুট ছিনতাইয়ের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুকসুদ হোসেনের ছেলে মাসুদুর রহমান শুভ বাহিনী। এর জের ধরে সোমবার পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাবাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে চেয়ারম্যান পূত্র শুভ, পুলিশের গলায় ছুরিচালানো মামালার আসামি কলোনীর আমিনুল, হত্যা মামলার আসামি হানিফা, অস্ত্র মামলার আসামি জরিফসহ ১০-১২ জন। ব্যবসা পরিচালনা সার্থে ইতি মধ্যে চেয়ারম্যান মাকসুদকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দেয়ার হয়েছিলো। ঘটনার পর পর কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে শফুরউদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।









Discussion about this post