বন্দরে শালিসে অপমান অপদস্ত করায় মোক্তার হোসেন মুক্তু( ৬২) নামের এক পাইপ মিস্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের বন্দরের কদমরসুল পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোক্তার হোসেন মুক্তু কদমরসুল পূর্বপাড়া এলাকার মৃত সামাদ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, পাইপ ফিটার মোক্তার হোসেন মুক্তুর দ্বিতীয় স্ত্রী আছিয়া বেগম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার বাড়িতে কাজ করেন।
তিনি কাউন্সিলরের কাছে মুক্তুর বিরুদ্ধে নালিশ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে কাউন্সিলরের লোকজন মুক্তুকে বাড়ি থেকে ধরে এনে শালিসের নামে অপমান অপদস্ত করেন।
মুক্তুর ছেলে আলম জানান, রোববার রাত ৯ টার দিকে কাউন্সিলর আশার পিএস সোহেল , জিকু, মিশু, জিসান, তন্ময়সহ ৮/১০ লোক তার বাবাকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। পরে কাউন্সিলর কার্যালয়ে নিয়ে শালিসের নামে হেনস্তা করে। অপমান অপদস্ত করায় তার বাবা বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মুক্তুর মৃত্যুর খবরে রাতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এদিকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জোড়ালো দাবী করেছে, বৃদ্ধ মোক্তার হোসেন মুক্তু অপমান ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে । তারা এর বিচার দাবী করেন ।
এ দিকে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা রোববার রাতে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন বলে জানা গেছে।
তবে যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের জানান, একজন বৃদ্ধ লোককে কেন আমি হেনস্তা করব ? মুক্তুর সাথে তার পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছে। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া ১৩ মার্চ রোববার তিনি আমার অফিসে আসেন নাই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এ ব্যাপারে বন্দর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে ।









Discussion about this post