বন্ধুদের সাথে ভারতে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুর এলাকার বাসিন্দা নাঈমুর রহমান প্রান্ত (২৪)। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের ছেলে তাইহান তাবাচ্ছির সোয়াদ (২৫), ফতুল্লা থানা গেট সংলগ্ন আমীর আলী সুপার মার্কেটের মালিক মৃত জহিরুল আলমের ছেলে আলী আকরাম আকিব (২৮) ও তার ছোট ভাই আলী আরমান আদিব (২৩)।
সোমবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাতে ভারতের গোয়া প্রদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতরা ভারতের গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে আদিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। নিহত নাঈমুর রহমান প্রান্ত ফতুল্লার লালপুরের কামাল হোসেনের ছেলে। সে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল। তার বাবা কামাল হোসেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী।
প্রান্তের চাচা আক্তার হোসেন দৈনিক অধিকারকে জানান, তার ভাতিজা গত রবিবার সকাল ১০টার দিকে বন্ধুদের সাথে ট্যুরিস্ট ভিসায় ফ্লাইটে করে ভারতের মুম্বাই যায়। সেখান থেকে গোয়া প্রদেশে যায়। সোমবার রাতে গোয়ায় প্রাইভেট কার দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। এতে প্রান্ত ঘটনাস্থলেই মারা যায়। প্রান্ত নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিল। আজ মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে তিনি জানান।
নিহতের স্বজনেরা জানান, রাত আড়াইটার দিকে প্রান্তর সাথে তাদের সর্বশেষ ফোনে কথা হয়েছিল। প্রান্ত নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে আজ সকাল ১০টার দিকে আহত সোয়াদ মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে দুর্ঘটনার সংবাদ জানান।
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে চেয়ারম্যানপুত্র সোয়াদ ফতুল্লায় একটি জিমনেসিয়াম পরিচালনা করতেন। আর আকিব ও আদিব দুই ভাই গোল্ডেন টি কোম্পানির মালিক ছিলেন। নিহত প্রান্তর মরদেহ এবং আহতদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে স্বজনরা।









Discussion about this post