শামীম ওসমান বলেন, সামনে আমাদের কঠিন পথ অতিক্রম করতে হবে। দেশের ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র হয়ে গেছে। আমি কোরআনটা এ্যানালাইসিস করে পড়েছি, গত একুশ বছর ধরে পড়ি। শেখ হাসিনা এতিম, আল্লাহ এতিমদের হেফাজত করেন। এখানে আমাদের ছেলেদের গুলি করে মারা হয়েছিল৷ লাশ নিয়ে পার্টি অফিসে শ্রদ্ধা জানাতে এসেও হামলার শিকার হলাম ৷ সেখানেও আমাদের গুলি করা হল। সেই লাশ থেকে আমরা সত্তরটা গুলি বের করেছিলাম।
এভাবেই সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথি বক্তব্যে একথা বলেন তিনি ।
তিনি বলেন, মাত্র ৩১ বছর বয়সে তিনি দেশে এসেছিলেন। তাকে তার ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আজকে অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে। সেদিন আবারও আসতে পারে। ষড়যন্ত্র এখনও হচ্ছে, আমি জাতির পিতার দুই কন্যার জন্য দোয়া চাচ্ছি এবং নিজের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
শামীম ওসমান বলেন, আমি না থাকলে কারও কিছু যায় আসে না। আমি আল্লাহকে শপথ করে বলতে চাই, “আমি ভয় পাচ্ছি ।“ বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখার মত আর কেউ নেই। তাই টার্গেটও তিনি একা। আমার বাবা ও মনসুর আলী চাচা এক রুমে ছিলেন। তাকে ওযু করতে দেয়নি। পাশের রুমে নিয়ে তাদের অফার করা হয়েছিল। তারা বলেছিল আমরা মরে প্রমান করতে চাই আমরা শেখ মুজিবের লোক। পরে তাদের হত্যা করা হয়। আমি এখন আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি না। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগের নয় তিনি এখন সকলের।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে আমাদের ওপর বোমা হামলা হল। তখন আমার কথা অনেকে বিশ্বাস করেনি৷ ২০০৪ সালে ঠিকই শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হল। সেদিন যদি গ্রেনেডটা ট্রাকে ফুটত তাহলে আজ কি কেউ বেঁচে থাকত? থাকত না।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাজনীতি ছেড়ে চলে আসতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিনি বললেন আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশ সোনার বাংলাদেশ হবে, আমরা ক্ষুধামুক্ত হতে পারব।
এমপি বলেন, আমাদের দুটো পয়েন্টে সকলকে এক হতে হবে। এক পররাষ্ট্র নীতি আরেকটা অর্থনীতি। কিন্তু আমি দেখি কিছু সুশীল যারা দেশ বেঁচে খায়। এই পুলিশ ও র্যাবের ওপরে যখন কোন রাষ্ট্র একটা কিছু করেছে। আমরা সেটা ডিপ্লোমেটিক ভাবে মোকাবিলা করব। কিন্তু যখন আমাদের অপমানিত করা হল তখন অবাক হয়ে দেখি আমাদের দেশের কিছু লোক হাততালি দেয়। এরা কারা। তারা নারায়ণগঞ্জেও এসে মিটিং করে। এ ব্যাপারটা আমাদের দেখা উচিত।









Discussion about this post