নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এরই মধ্যে ধাক্কা দেয়া জাহাজটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকার একটি ডকইয়ার্ড থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ঘটনার ২ ঘন্টার মধ্যেই আটক করেছে কোস্টগার্ড । কোস্টগার্ড সূত্র থেকে জানা যায়, দূর্ঘটনার পর এমভি রূপসী ৯ নামক পন্যবাহী জাহাজটি এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর জাহাজটির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা ডকইয়ার্ড এলাকায় ফেলে রেখে পারিয়ে যায় ।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম এল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সোয়া দুইটার দিকে বন্দরের আল আমিন নগরের বাংলা সিমেন্ট ঘাট এলাকায় আসলে এমভি রূপসী সিটি ৯ নামের সিটি গ্রুপের একটি মালবাহী জাহাজ দ্রুত গতিতে অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। ১০-১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
এ ঘটনার এক ঘণ্টা পর নদী থেকে ৫জনের লাশ উদ্ধার করে বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরিরা।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরাত এ খুদা। তিনি জানান এ পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।









Discussion about this post