পণ্যবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী এম এল আফসার উদ্দিন নামে যাত্রীবাহী ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে আরও এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধার করা লাশটি একজন যুবকের। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। পরনে প্যান্ট ও হাফ হাতা টি-শার্ট রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের এই কর্মকর্তা বলেন, যেসব লোকেরা তাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে দেখালেও তারা লাশ শনাক্ত করতে পারেননি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
এর আগে ডুবে যাওয়া এমভি আশরাফ উদ্দিন নামের লঞ্চটি ‘৫৫ হাত’ পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে লঞ্চটি টেনে তুলে নদীরে তীরে আলামিননগর এলাকায় রেখেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল এমভি আশরাফ উদ্দিন। কিন্তু পথে এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গোবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তের মধ্যেই ডুবে যায়।









Discussion about this post