নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি আফসার উদ্দিন ডুবির ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে নিহতদের পরিবারকে জীবনের সমপরিমাণ আয়ের ক্ষতিপূরণ ও দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিরাপদ নৌপথ চাই নামের একটি সংগঠন।
সোমবার ২১ মার্চ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫নং ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যার তীরে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপদ নৌপথ চাই সংগঠনের সহসভাপতি জুয়েল প্রধানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির জেনারেল সেক্রেটারী সবুজ শিকদার, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে সবুজ শিকদার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপদ নৌপথের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আজকে দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও শীতলক্ষ্যা নদী দিনে দিনে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। যে দেশের নৌপথ যত উন্নত সেই দেশ তত উন্নত হয়। নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যেসব লঞ্চ অনুমোদন রুট পারমিট দেয়া হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে সার্ভে সনদ দেওয়া হয়নি। ডুবন্ত নৌযানকেও সার্ভে সনদ দেয়া হয়। সরকারী কর্মকর্তারা যারা জাহাজে বা নৌযান পরিদর্শন না করে জাহাজে না এসে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। মানুষের মূল্য টাকা দিয়ে মাপা যায়না। মানুষের মূল্য হৃদয় দিয়ে মাপতে হয়। মানুষকে পণ্য হিসেবে গণ্য করবেন না। যারা মারা যায় তাদের পরিবার জানে একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
শীতলক্ষ্যার বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি লঞ্চ বার্থিং করে রাখার কারণে শীতলক্ষ্যার নৌপথ সরু হয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটছে। গত এক বছরের ব্যবধানে অনেকগুলো দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তিনি লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দায়ী সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজটিকে কমপক্ষে ২ বছর আটকে রাখা হোক যাতে অন্যান্য নৌযানগুলো এই জাহাজটিকে দেখে সতর্ক হয়। যাতে অন্যান্য জাহাজের চালকরা এইভাবে বেপরোয়া গতিতে আর না চালায়। সিটি গ্রুপের জাহাজগুলো শীতলক্ষ্যায় বেপরোয়া গতি চলাচল করে থাকে বলে অভিযোগ করেন তিনি।









Discussion about this post