মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধানে আবারো রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেরার পথে তিতাসের বিচ্ছিন্ন টিমের উপর আতর্কিত হামলা চালিয়েছে এলাকাবাসী।
হামলায় তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক মেজবাউর রহমানসহ বিচ্ছিন্ন টিমের ৫ জন আহত হয়েছে। এর আগে গত ১৩ মার্চ রোববার দুপুরে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকায় এভাবেই অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীরা হামরা চারিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় ।
বুধবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১২টায় উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আধুরিয়া এলাকায় এমন হামলাকালে হামলাকারীরা প্রকাশ্যেই বলেন, “এই তিতাসের দূর্ণীতিবাজরাই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ দিয়ে মাসে মাসে মাসোয়ারা দিয়ে এখন আবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আইছে । নারায়ণগঞ্জে হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ এখনো চলতেছে কেমনে ? এই চোরের বাচ্চারাই গ্যাস চুরির মুল হোতা । এরাই অবৈধ সংযোগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিজেরা আঙ্গল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। এই চোরদের (উচ্ছেদকারীদের) সম্পদের হিসাব নিলেই বেড়িয়ে আসবে কতটা ভয়ংকর অপরাধী এরা । আর এখন আমাদের কাছ থেইক্কা টাকা নিয়া অবৈধ সংযোগ দিয়া আবার উচ্ছেদ করতে আইছে । আগে (তিতাস কর্মকর্তা কর্মচারীদের) বিচার চাই।”
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক মেজবাউর রহমান জানান, তিনি সহ তিতাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতায় বেলা ১২টায় উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরিয়া এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি এলাকাবাসী জাসতে পেরে এলাকাবাসী ব্যবস্থাপক মেজবাউর রহমানসহ তিতাসের বিচ্ছিন্ন টিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এলাকাবাসী সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক মেজবাউর রহমানকে অবরূদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশের সহযোগীতায় তিনি উদ্ধার হন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ১ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এসময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে তিতাস কর্মকর্তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় তিনিসহ বিচ্ছিন্ন টিমের ৫ জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির মোল্লা বলেন, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেরার সময় এলাকাবাসী তিতাস কর্মকর্তাদের অবরূদ্ধ করে রাখেন । ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।









Discussion about this post