আজ বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) অর্থ্যাৎ বৈশাখের প্রথম দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই এই আয়োজন। রয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলাসহ নানা আয়োজন। সারাদেশের ন্যয় নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে বর্ষবরণ উপলক্ষে নেয়া হয়েছে নানা আনুষ্ঠানকতা।
প্রাচীন এই নগরীতে ব্যবসা সমৃদ্ধ সকলেই এই বর্ষবরণ উপলক্ষে দুই দিন ব্যাপী গ্রহণ করা হয়েছে নানা আচার আচরণ ।
কাকডাকা বোর থেকেই বর্ষবরণ করতে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের নারায়ণগহ্জ ক্লাবের সামনে বিশাল ফুলের বাজারে শুরু হয়েছে ফুল কেনার ধুম । যেন এক উৎসবের নগরী ।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর অনাড়ম্বরভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলেও এইবার বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ জেলায়। ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাপঞ্জির বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যে ।
বৈশাখের ভোরে ঢাকার রমনার বটমূলে ছায়ানটের আদলে নারায়ণগঞ্জ শহরের শেখ রাসেল নগর পার্কে বর্ষবরণের আয়োজন যেমন থাকবে তেমনি চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রাও হবে, ভোর সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এবং দেওভোগ লক্ষ্মী নারায়ণ আখড়া প্রাঙ্গণে বসবে বৈশাখী মেলা স্থানীয়ভাবে বলা হয় ‘আখড়ার মেলা’।
নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইন্সটিটিউটে দেখা যায়, করোনার ধকল কাটিয়ে এবার স্বল্প পরিসরে আয়োজন চলছে। তবুও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহের কমতি নেই। চারুকলার পরীক্ষা চলছে। সিনিয়র শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে না বিধায় জুনিয়ররা সবকিছু করছে। কেউ রাজা-রাণীর মুখোশ তৈরি করছে। কেউবা মাটির সরাতে রঙ। সিংহের মুখোশ ও প্যাঁচার মুখোশ এবং পাখি তৈরীতে ব্যস্ত ছাত্রছাত্রীরা। চারুকলার সামনের প্রবেশপথটিতে আলপনা করেছে দাগ আর্ট স্টেশন নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। সহযোগিতা করেছে চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ সামসুল আলম আজাদ জানান, বর্ষবরণ উপলক্ষে লোকশিল্পের সঙ্গে চারুকলার নতুন ছাত্রছাত্রীদের একটা যোগসূত্র তৈরি হয়। লোকশিল্প সবাইকে একত্রিত করে। কমন আইকনগুলো সকলকে টানে। সবাই একত্রিত হয় শেকড়ের টানে। বাঙালির শেকড়ের সন্ধান মিলে লোক শিল্পের মধ্যে। এই লোকশিল্পকে কেন্দ্র করেই আমাদের আয়োজন। লোকশিল্পের মোটিভ হচ্ছে সরল ফর্ম ও মৌলিক বলে এটা সকলে বুঝতে পারে। লোকশিল্পের বিভিন্ন উপাদান আঁকা আঁকির মধ্যে দিয়ে ঐতিহ্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়।









Discussion about this post