মোঃ শাহজাহান কবির,
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নরসিংদী মদনগঞ্জ সড়কের (পুরাতন রেল লাইন) আড়াইহাজার উপজেলার প্রভাকরদী থেকে উত্তর কলাগাছিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার জায়গার দুই পাশে যত্রতত্র গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। এর মধ্যে কেউ কেউ বাড়ী ঘর নির্মাণ করে স্থায়ি ভাবে বসবাস করছে আবার কেউ কেউ বড় বড় মার্কেট তৈরী করে ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।
নরসিংদী থেকে মদনগঞ্জ পর্যন্ত ১৯৮৬ সন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করেছে। ১৯৮৭ সালের শুরুর দিকে তৎকালীন এরশাদ সরকার এ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। আড়াইহাজার উপজেলার প্রভাকরদী থেকে উত্তর কলাগাছিয়া পর্যন্ত তিনটি রেলওয়ে ষ্টেশন ছিল। ষ্টেশন তিনটি হলো প্রভাকরদী (মঞ্জুরাবাদ), আড়াইহাজার এবং মোল্লারচর।
ষ্টেশনগুলো ছিল আড়াইহাজারের পুরানো ঐতিহ্য। তৎকালীন সরকার রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার পর থেকেই দুই পাশে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। এর মধ্যে কোন কোন ব্যাক্তিকে রেলওয়ে জায়গা গুলো লিজ দিয়ে থাকলেও বেশীর ভাগ স্থাপনাই গড়ে উঠেছে অবৈধ ভাবে। বর্তমান সময়ে এ অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম চরমে পৌঁছে। যারা যে ভাবে পারছে দখল করে নিচ্ছে রেলওয়ের জায়গা। গড়ে তুলছে যার যার ইচ্ছামত স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে বড় বড় মার্কেট ও।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মারুয়াদী এলাকায় আমেরিকা প্রবাসী আরজু মিয়া নামে এক প্রভাবশালী লোক পাকা ভবনের মাধ্যমে বিরাট এক মার্কেট নির্মাণ করেছে রেলওয়ের জায়গা জবরদখল করে। একই ভাবে উপজেলার পাঠানেরকান্দি এলাকার আলমগীর, মোল্লারচর এলাকার তাইজুল এবং কাসেম বড় বড় মার্কেট নির্মাণ করেছে যার মধ্যে ব্যবস্থা রয়েছে প্রায় ২০০ টি দোকান ঘরের। তা ছাড়া উপজেলার প্রভাকরদী, ফাউসা, ব্রাহ্মন্দী, কৃষ্ণপুরা, আড়াইহাজার চৌরাস্তা, (পায়রাচত্তর), এলাকায় সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান গড়ে তুলেছেন জবেদ আলী মেমোরিয়াল হাসপাতাল বাঘানাগর, ডৌকাদী, মোল্লারচর, কলাগাছিয়া এ সমস্ত এলাকায় বিভিন্ন ভাবে অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে রেলওয়ের জায়গা জবরদখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা।

এ ব্যাপারে মোল্লারচর গ্রামের তাইজুল এবং মারুয়াদী গ্রামের আরজু মিয়া জানান, ”আমরা রেলওয়ের কাছ থেকে লিজ নিয়ে স্থাপনা গুলো তৈরী করেছি।”
রেলওয়ের দয়িত্বরত সার্ভেয়ার ফাইজুদ্দীন জানান, রেলওয়ের নামে প্রস্থে ১১৯ ফুট জায়গা একোয়ার করা। এর মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মাঝ খান দিয়ে ৫০ ফুট প্রস্থে সওজ কে দিয়ে দেয়া হয়েছে যা এখন নরসিংদী মদনগঞ্জ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের (পূর্ব) চীফ এস্টেট অফিসার সুজন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন করে কারো নামে কোন জায়গা লিজ দেয়নি। যাদের নামে পুরাতন লিজ রয়েছে তাদের ও লিজের মেয়াদ কাল শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে আর কোন লিজ দেয়া হবেনা। যারা অবৈধ ভাবে রেলওয়ের জায়গা জবরদখল করে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান করে জবরদখলকৃত জায়গা দখল মুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।









Discussion about this post