পরিবেশ অধিদপ্তর অসাধু কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের অসাধু চক্র, পুলিশ প্রশাসনের একধিক অসাধু কর্মকর্তা, ভ্যাট কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়েই ম্যানেজ করেই ইটভাটা চলে আসছে অবৈধ পন্থায় । এমন অসংখ্য একাধিক চক্রদের ম্যানেজ চাড়াও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় অবৈধ ইটভাটা চালু রয়েছে কোন আইন কানুনকে তোয়াক্কা না করে সেখানে হাইকোর্ট বা সত কোন কর্মকর্তার আদেশ নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই যাচ্ছে প্রতিনিয়তঃ ।
বারবার ঘুষ দিয়ে সকলকে ম্যানেজ করতে পারার কারণেই ভ্রাম্যমান আদালতের উপর এমন হামলা করার সাহস করেছে ইট ভাটার লোকজন । এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় অনেকেই
হাইকোর্টের নিদের্শনা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় একটি ইটভাটায় অভিযান চালানোর সময়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের টিমের উপরে হামলা চালিয়ে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। ১৭ এপ্রিল রবিবার ওই ঘটনায় উত্তেজিত শ্রমিকরা গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ি ভাংচুর করে। শ্রমিকদের হামলায় গাড়ির চালক মো: আরমান ও একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১ মার্চ হাইকোর্ট ডিভিশনের সকল অবৈধ ইটভাটা ভাঙ্গার আদেশের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ইটভাটাসমূহে অভিযান চালাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটবৃন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৩টায় ৩জন পুলিশের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেসমিন নাহার ও নুসরাত আরা খানমের সমন্বয়ে একটি মোবাইল কোর্ট জাকির হোসেনের মালিকানাধীন বক্তাবলী ব্রীক ফিল্ড এন্ড মা ট্রেডার্স নামে ইট খোলায় আসে।
এসময় মোবাইল কোর্টের ম্যাজিষ্ট্রেটগন জাকির হোসেনকে ডেকে তার ইটখোলা পরিচালনার বৈধ কাগজপত্র চান। এসময় তিনি কাগজপত্র দেখাতে সময় চাইলে তার কোন কথা না শুনে ভেকু দিয়ে ইটভাটা ভাংচুর শুরু করেন। এতে জাকির হোসেন বাধা দিলে তাকে ম্যাজিস্ট্রেটরা ধমক দেন। এসময় জাকির হোসেন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তখন ইটখোলার শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল কোর্টে যাওয়া ম্যাজিষ্ট্রেটসহ পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তখন ম্যাজিষ্ট্রেটদের বহন করা একটি গাড়ি ইটের আঘাতে গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এসময় ম্যাজিষ্ট্রেটসহ মোবাইল কোর্টে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, ইট খোলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয় আমাদের কাছে কোন তথ্য বা সহযোগিতা কেউ চায়নি। এবিষয় কিছু জানিনা।
মোবাইল কোর্টে অংশ নেয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছাম্মত জেসমিন নাহার বলেন, একটি গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। এছাড়া কেউ আহত হয়নি। উর্ধ্বতন অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিস্তারিত জানাবো।









Discussion about this post