আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত চাঁদাবাজির কারনে আইন কে তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড় উঠা অসংখ্য ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। হামলার শিকার, ভাংচুর করা হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি ।
এমন আশংকা ও ভয়ে অধিক নাত্রায় পুলিশ বাহিনী ছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও শাসক দলের নেতাদের সাথে নিয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন এলাকায় ইটভাটা উচ্ছেদের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “অবৈধ ইটভাটা গুটিয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাধুবাদ জানাই তাদের । কিন্তু যাদের ছত্রছায়ায় এতোদিন বিশাল ঘুষের বিনিময় এই অবৈধ ইটভাটা গুলো চললো তাদের বিচার করবে কে ? মাসের পর মাস ঘুষ নেয় কারা ? মূলতঃ অপরাধী কারা ?
এমন সমালোচনা ছাড়াও উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, ‘চেয়ারম্যান কে নিয়ে ফটোসেশান করতে আইছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা । আমরা ফটোসেশান চাই না । আমরা চাই ঘুষখোর মুক্ত পরিবেশ অধিদপ্তর ৷ তাইলে আর বিশ্বের এক নাম্বার পরিবেশ দূষণের দেশ হিসেবে আমাদের দূর্ণাম হবে না ।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে ভাটা পরিচালনা করার অপরাধে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় একটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বক্তাবলী চর রাজপুর এলাকায় ‘তোহা ব্রিক ফিল্ড’ নামে ইটভাটায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উদ্যোগে অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু বক্কর সরকার।
এসময় সহযোগিতায় ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী।
পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকা, ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করা সহ অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ দূষণের বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তোহা ব্রিক ফিল্ড ভেঙে দেওয়া হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’









Discussion about this post