নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান বিরোধ কোন অবস্থাতেই মীমাংশা হচ্ছেই না । এমন বিরোধ মীমাংশা করতে খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয প্রধান শেখ হাসিনা নিজ উদ্দ্যোগে শামীম ওসমান ও ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে আপোষ করে দিলেও শেষ পর্যন্ত আর সেই অবস্থানে ছিলেন না কেউ বা কোন পক্ষ । এরই ধারাবাহিকতায় এখনো পর্যন্ত এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে নানা পন্থায় চেষ্টা – অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। থামছে না কোন্দল। এমন অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে মেয়র আইভীর উপর হামলার ঘটনাও ঘটে । ব্যাঙ্গাত্মক ব্যানার ফ্যাস্টুন বিলবোর্ড সাটানো ছাড়াও ভার্চুয়াল মাধ্যমে মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর মানহানি করতেও নানা চেষ্টার পর মামলা দায়ের করেন মেয়র আইভী
আর সেই মামরায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহার বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
গত বছরের জানুয়ারিতে ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেছিলেন নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খোকন সাহার সমর্থকগোষ্ঠী।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাডভোকেট খোকন সাহা সমর্থকগোষ্ঠীর ব্যানারে এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হান্নান আহমেদ দুলাল। সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালার সঞ্চালনায় এই সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরাফাত, সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা, দপ্তর সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার সাহা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, খোকন সাহা কর্মীবান্ধব নেতা। তার কিছু হলে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। খোকন সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা মেনে নেওয়া যায় না। তার বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
এই সময় খোকন সাহার অনুসারী নেতা-কর্মীরা ‘খোকন সাহার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ‘খোকন সাহার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ বলে স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল মাধ্যমে ‘মিথ্যা অপপ্রচারের’ অভিযোগে নিরাপত্তা আইনে খোকন সাহার বিরুদ্ধে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর করা মামলায় গত ২২ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সম্প্রতি এই মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।









Discussion about this post