নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ যেভাবে দূষিত হচ্ছে শীতলক্ষ্যাকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ছে। কিন্তু শীতলক্ষ্যাকে আমাদের বাঁচাতেই হবে। নদীর ওইপারে কিছু সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আছে। ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে এতগুলো সিমেন্ট কারখানা যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। একারণে শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগ ওই পারের মানুষের কিছুটা বেশি হয়। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন অনেকগুলো কাজ করছ।
রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপ ও স্থুলতা পরীক্ষা ও শনাক্তকরণ কর্মসূচির উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সিডিসি ও সেভ দি চিলড্রেনের সহযোগিতায় দুই মাস ব্যাপী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপ ও স্থুলতা পরীক্ষা ও শনাক্তকরণ কর্মসূচি পালিত হবে।
মেয়র আইভী আরো বলেন, সব জায়গাতেই ক্যান্সারের হার বেড়ে যাচ্ছে। এরকারণ অবশ্যই খুজঁতে হবে। আমরা যেই পানি পান করছি তা যথেষ্ট বিশুদ্ধ না। গ্রাউন্ড ওয়াটার (ভূর্গভস্থ জল) ব্যবহার করছি। নদীর পানি পরিশোধিত করছি কিন্তু সেটাও নট এনাফ। যে খাবার খাচ্ছি সেগুলোতে যে প্রিজারভেটিভস দিচ্ছে এসব স্বাস্থ্যের জন্যঅনেক ক্ষতিকর। সবকিছু মিলিয়ে আমরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রয়েছি। উন্নয়নের তাগিদে আমাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে জোড় দিতে হবে। সরকার এই খাতে প্রচুর টাকাও দিচ্ছে। কোভিডের পর থেকে অনেকেই স্বাস্থ্যখাতে কাজ করতে চাইছে কিন্তু প্রত্যেক জেলা উপেজেলায় হাসপাতালের আধুনিয়কারণের কথা কেউ খুব একটা চিন্তা করছে না।
মেয়র আইভী বলেন, দেশের জনস্বাস্থ্য যদি সঠিকভাবে না থাকে, তাহলে সেই দেশ অনেক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ে। মানুষের কর্মক্ষমতা কমে গেলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব নয়। শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কারণ গ্রামে এনজিও সহ নানা মাধ্যমে ক্যাম্পিং করে মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করা হয়। কিন্তু শহরে হলেও সেটা খুব সময়ের জন্য হয়।
কাউন্সিলরদের বলছি, আপনারা আপনাদের ওয়ার্ডের সমস্যাগুলো আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সেই অনুযায়ী সমস্যার সমাধানে কাজ করব। যার যার পেশা থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আমাদের কেবলমাত্র সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না।
উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন,‘আমরা যে যেই কাজ করি না কেন, সেই কাজটা যেন মনোযোগ দিয়ে করি। আমরা যেন ভুলে না যাই আমরা এদেশের সন্তান। আমরা সরকারের দিকে যেন শুধু তাকিয়ে না থাকি। আমি আমার নিজের কাজটা যেন ঠিকভাবে করি । একটু ফাঁকি ঝুকি যেন কম দেই। সঠিক ভাবে যেন আমরা কাজটা করি। তাহলে আমরা অনেক কাজ করতে পারবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এসসিআই, হেলথ নিউট্রিশন অ্যান্ড এইডস/এইচআইভি সেক্টর ডিরেক্টর ডা. লাইমা রহমান, ইউএস সিডিসি কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সুসান নিলি কায়ডোস- ড্যানিলস, এসসিআই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রজেক্টর ডা. মোহাম্মদ শেখ নিজাম আলী, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা আলী প্রমুখ।









Discussion about this post