নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের জিম্মি করে প্রতারণার অভিযোগে দালাল চক্রের ১৯ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট কাউসার আলমের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন ইবনে আবু সাইদ রনি, মো. জাহিদুল ইসলাম, সঞ্জয় চন্দ্র দাস, মো. আকাশ ইসলাম, মো. আমির হোসেন, মো. জাহিদ, ফরহাদুজ্জামান, মো. আরাফাত হোসেন মোল্লা, মো. অপু, মো. নাজমুল, মো. আকাশ, মো. রাব্বি, বাপ্পী মন্ডল, মো. সবুজ, মো. ইজাজুল, মারুফ, হিরুচি আক্তার, হাজেরা বেগম ও হিরা।
পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দালালদের দৌরাত্ম্যে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের রোগীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে—এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। আদালত ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন গোয়েন্দা পুলিশকে। তদন্তে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ১৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর (আদালত সহকারী) সাইফুল মীর জানান, ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়—নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে দালাল চক্রের কাছে জিম্মি রোগীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। দালাল চক্রের সদস্যরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আদালত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই ঘটনায় পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আদালত রোববার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।









Discussion about this post