ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রিন্স কে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিভাবক প্রতিনিধি দু্জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুইজন হলেন গভর্নিং বডির সদস্য সরকার আলম ও ওয়াহেদ সাদত বাবু। এর মধ্যে বাবুকে গত ১৩ এপ্রিল গ্রেফতার করেছিল সদর মডেল থানা পুলিশ। আর ১৯ এপ্রিল সরকার আলম জামিন নিয়েছেন। ঘটনার মাত্র ১৮ দিনেই পুলিশ আদলতে চার্জশীট দাখিল করেন। মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রিন্স ১১ এপ্রিল সদর মডেল থানায় জিডি করেন। পরে সেটা মামলায় রূপান্তর করা হয় ।
জানা গেছে, হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের ভর্তির দায়িত্ব শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের উপর অর্পন করেন। তিনি হাই স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি।
১০ এপ্রিল সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সরকার আলম ও ওয়াহেদ সাদত বাবু স্কুলের শিক্ষক মাহবুবুর রহমানকে পুরোনো ভবনের অফিস রুম থেকে টেনে হিচড়ে এবং ধাক্কা দিতে দিতে প্রধান শিক্ষকের রুমে নিয়ে আসে। এরপর রুমের সামনে তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক তার ক্লাসরুম থেকে ছুটে এসে সরকার আলম ও বাবুর উপস্থিতিতে এই দৃশ্য দেখতে পায়।
এদিকে শিক্ষককে মারধর লাঞ্ছনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সোমবার ১১ এপ্রিল সকাল থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্কুলটির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা স্কুলের অভ্যন্তরে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন।
১৩ এপ্রিল রাতে বাবুকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আনা হয়। ১৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মুন্সির আদালতে হাজির করা হলে অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন এবং অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির সহ ২২জন আইনজীবী আসামীর জামিনের জন্য আবেদন জানান।
আদালত আসামীপক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সরকার আলম জামিন পান। ১৯ এপ্রিল দুপুরে তিনি অতিরিক্ত সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. মোহসেন এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
২৯ এপ্রিল আদালতে দায়ের করা চার্জশীটে চারজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
(ফাইল ছবি)









Discussion about this post