রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শাহীনা আক্তার (২১) নামে এক নারী পোশাক শ্রমিককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৫ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীর (৩০) নামে এক যুবকের লিঙ্গ কর্তন করার জেরে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের বাগিচাগাও ডগাইর এলাকার একটি ভবনের সাত তলায় এ ঘটনা ঘটে। জাহাঙ্গীর পুলিশি প্রহরায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আয়ান মাহমুদ দীপ জানান, পোশাক শ্রমিক শাহিনা ও জাহাঙ্গীর উভয় বিবাহিত। শাহীনা নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে তার স্বামী রুহুল আমিনের সঙ্গে থাকতেন। জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী নুরনাহার ও সন্তানদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় থাকতেন।
ধারণা করা হচ্ছে, হতাহতের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এর কারণে বিকেলে শাহিনা তার পরিচিত মাতুয়াইল এলাকার একটি বাসায় জাহাঙ্গীরকে নিয়ে যান। সেখানে কোনো কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহীনা জাহাঙ্গীরের লিঙ্গ কর্তন করলে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ বলেন, শাহীনার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যেই বাসায় ঘটনাটি ঘটে সেই বাসার লোকজন ভয়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
পুলিশ আরো জানায়, কর্মক্ষেত্রে শাহীনা আক্তার (২৪) নামের ওই তরুণীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরেই দুপুরে তাঁরা দুজন তাঁদের পরিচিত এক ব্যক্তির বাসায় যান। সেখানেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীরের জননাঙ্গ কেটে দেন শাহীনা। এ সময় জাহাঙ্গীর তাঁর গলা চেপে ধরে ধাক্কা দেন। এতে শাহীনার মাথা দেয়ালের সঙ্গে লাগে। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। জাহাঙ্গীরের দাবি, বাসায় যাওয়ার পর একটি কক্ষে আটকে তাঁর জননাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়।









Discussion about this post